এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের নজিরবিহীন বিপর্যয়ে দ্রুত দলে ক্ষমতা হারাচ্ছেন দুই হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা?

তৃণমূলের নজিরবিহীন বিপর্যয়ে দ্রুত দলে ক্ষমতা হারাচ্ছেন দুই হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা?

লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং ডাক দিয়েছিলেন ৪২ এ ৪২, প্রথমে সবার ধারণা হয়েছিল বোধহয় নির্বাচনী চমক! কিন্তু, দ্রুত সেই ভুল ভাঙে যখন দেখা যায়, তৃণমূল নেতারা সোৎসাহে প্রচার করতে থাকেন বাংলা থেকে তৃণমূলকে ৪২ এ ৪২ করে দিতে পারলেই নাকি দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে তো ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন দরকার, ৪২ এ ৪২ হলেও বাকি ২৩০ কথা থেকে আসবে? অত্যুৎসাহী সমর্থকদের এই প্রশ্নের উত্তর ছিল, দিদি সব জানে, দিদি ঠিক ম্যানেজ করবে!

কিন্তু, ফলাফল বেরোতেই দেখা গেল , ৪২ এ ৪২ তো দূরের কথা আসন সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকের কাছাকাছিতে! আর যে বিজেপিকে তিনি বারেবারে গোল্লা দিয়েছিলেন, তারাই ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে চমকে দিয়েছে তৃণমূল শিবিরকে। কিন্তু আমাদের করা ভোটের আগের ওপিনিয়ন পোলেই ইঙ্গিত ছিল বাংলায় বিজেপি ১৭ টি আসন পেতে পারে, ভোটের পরের এক্সিট পোলে ১৯ টি আসন! এমনকি ছোট-বড় প্রায় সব সমীক্ষার হিসাবেই দেখাচ্ছিল বিজেপি ১৫+, অর্থাৎ যে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত সমীক্ষক দলগুলি ধরতে পারছিল, তার কোনো হদিশই ছিল না তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর স্বাভাবিকভাবেই এই বড়সড় ধাক্কার পর, সাংবাদিক বৈঠক তো দূরের কথা, গত দুদিন বাড়ির বাইরেই দেখা যায় নি তৃণমূল নেত্রীকে। আজ অবশেষে, দলের জয়ী প্রার্থীদের ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিজের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে ডাকেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই বৈঠকের পরেই সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বিজেপি টাকা ছড়িয়ে জিতেছে বা ইভিএমে প্রোগ্রামিং করে জিতেছে – এইরকম তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা পাশাপাশি, তিনি দলীয় স্তরে একাধিক পরিবর্তনের কথা জানান। কিন্তু, সেইসব পরিবর্তন নয়, দুটি বড়সড় পরিবর্তনই কার্যত সেই সাংবাদিক বৈঠকের পর চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।

প্রথম পরিবর্তনটি হল, দলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা হ্রাস! এতদিন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেই দেখা গেছে তাঁর দায়িত্বে থাকা এই তিন জেলায় বড়সড় বিপর্যয় ঘটছে তৃণমূলের। আর তারপরে লোকসভা নির্বাচনে তিনি নিজে মাটি কামড়ে পরে থেকে এখন থেকে সাফল্য আনার চেষ্টায় ছিলেন, কিন্তু লোকসভা নির্বাচনেও এইসব জেলাতে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে।

আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূলনেত্রী আজ ঘোষণা করেন, অভিষেক সবার সাথে কো-অর্ডিনেশন করবে, ভোটার তালিকার কাজ দেখবে। অন্যদিকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়িত্ব ছিল নদীয়া জেলার। সেই নদীয়া জেলাকে ভেঙে দুভাগ করে দুজনকে দায়িত্ব দিলেও নামোচ্চারিত হয় নি পার্থবাবুর। আর তাই, আজকের বৈঠকের পর দলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা ও মহাসচিবের দায়িত্ব কমানোর ইঙ্গিতে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!