এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > পুলিশ ‘মেরে’ একের পর এক বিজেপি কর্মী গ্রেপ্তার, কে আসল নেতা তাই নিয়ে শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব – জমজমাট বর্ধমান

পুলিশ ‘মেরে’ একের পর এক বিজেপি কর্মী গ্রেপ্তার, কে আসল নেতা তাই নিয়ে শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব – জমজমাট বর্ধমান

কাটোয়ায় পুলিশকে মারধোরের অভিযোগে আরো চারজন বিজেপি নেতা-কর্মী গ্রেফতার হলেন এদিন। এর আগে এই ঘটনায় আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে রাজ্যপুলিশ সূত্রে।

এদিনের ধৃত চারজন হলেন কাটোয়ার মাধবীতলার অনুপ বোস, একাইহাটের পূর্ণেন্দু বসু, মণ্ডলহাটের প্রমথ বাগচি, মনোজ ভট্টাচার্য, চর একাইহাটের তাপস মণ্ডল এবং কেতুগ্রামের রাজেন্দ্র মণ্ডল। গতকাল ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে প্রত্যেকের ছ’দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপি সুপ্রিমো দিলীপ ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে কাটোয়া শহরে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। কাটোয়া শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্টেশান বাজার চৌরাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুলও দাহ করে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।

এর জেরে বেশ অনেকক্ষণ ধরেই অবরুদ্ধ হয়ে যায় ওই রাস্তা। ওইসময় একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পাশ হওয়ার জায়গা করে দিতে কাটোয়া থানার এসআই মধুমিলন ভান্ডারি সহ দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার এগিয়ে গেলে অবরোধকারী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হামলার শিকার হন তাঁরা।

অভিযোগ, কুশপুতুল দাহ করার জলন্ত কাঠ দিয়েই এসআই-এর উপর আক্রমণ করে বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি লাঠির ঘাঁয়ে আহত হন দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারও। এই ঘটনায় পুলিশি তৎপরতায় গ্রেপ্তার হন বিজেপির কাটোয়া নগর সভাপতি অনুপ বসু এবং কেতুগ্রামের যুব সভাপতি রাজেন্দ্র মন্ডল।

এরপর এদিন আরো চারজন বিজেপি নেতা গ্রেফতার হলেন। উক্ত ঘটনা প্রসঙ্গে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হচ্ছিল বলেই পুলিশ বাধা দিতে আসে। রাজ্যপুলিশকে তৃণমূলের ‘দলদাস’ বলেই সম্বোধন করলেন তিনি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে, দুজন শাসকদলের নেতা নিজেদেরকে মেমারি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি দাবী করে বিগ্রেড সমাবেশের সমর্থনে ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমানে। শেখ ফারুখ আবদুল্লা দিন কয়েক আগে নিজেকে মেমারি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি দাবী করে বিগ্রেড সমাবেশের সমর্থনে ব্যানার টাঙান।

এরপর গতকাল সৌরভ সাঁতরাকে দেখা যায় বিগ্রেড সমাবেশের সমর্থনে ফ্লেক্স টাঙাতে। দলীয় নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে ফ্লেক্সের নীচে নিজের নাম এবং পদ হিসাবে দুজনেই দলের শহরের যুব সভাপতি বলে উল্লেখ করেছেন। পুরসভার বিভিন্ন জায়গায় দুজন যুব সংগঠনের শহর সভাপতির ফ্লেক্স এবং ব্যানার টাঙানো রয়েছে বর্তমানে। এ নিয়ে জোর চর্চ শুরু হয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, যুব নেতা সৌরভ সাঁতরা মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগমের ঘনিষ্ঠ। আবার শেখ ফারুখ আবদুল্লার সখ্যতা রয়েছে মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধানসভার পর্যবেক্ষক স্বপন বিষয়ীর সঙ্গে। ২০১৩ সাল থেকে যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ফারুখ।

সম্প্রতি সংগঠনের জেলা সভাপতি সুভাষ মন্ডল সৌরভকে যুব সভাপতির দায়িত্বে এনেছেন। তিনি এখনো ওই দায়িত্বেই বহাল রয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর কোনো নোটিশ দেননি, এমনটাই দাবী ফারুখের।

অন্যদিকে সৌরভ সাঁতরার বক্তব্য, দিনকয়েক আগে সুভাষ মন্ডলই তাকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শহর সভাপতির দায়িত্বে থাকার নিয়োগপত্র দিয়েছেন। এ অবস্থায় অন্য কেউ নিজের নাম ব্যবহার করে ফ্লেক্স টাঙাচ্ছেন কিনা সে ব্যাপার জানা নেই তাঁর।

অবাক করার মতো বিষয় হল,এ ব্যাপারে সংগঠনের জেলা সভাপতি সুভাষ মণ্ডলকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না। রাজনৈতিক চাপান-উতোরে আপাতত টালমাটাল অবস্থা বর্ধমানের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!