এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ দলেরই একাংশের! অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ দলেরই একাংশের! অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতকাল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বাড়তি উৎসাহ পেয়েছে গেরুয়া শিবিরৃ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হাতিয়ার করে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। কিন্তু এবার মালদহে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়ল গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধানছর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির উপপ্রধান সহ একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য। যার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

কিন্তু হঠাৎ কি এমন বিষয় বিজেপির উপপ্রধান সহ একাধিক সদস্য দলের প্রধানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন? পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে আর্থিক অনিয়ম শুরু করেছেন। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে যে সমস্ত প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তার একটাও করেননি প্রধান। আর এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবার বিডিও সাহেবের কাছে বিজেপির উপপ্রধান সহ একাধিক সদস্য তাদের অভিযোগ জমা দেওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির মানিকচক পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শংকর মন্ডল বলেন, “দলীয় প্রধান হলেও বর্তমানে উনি দুর্নীতিগ্রস্ত। গত এপ্রিল থেকে মে মাসে তিনি করোনা মোকাবিলার নাম করে 5 লক্ষ টাকা আমাদেরকে অন্ধকারে রেখে সরিয়ে দিয়েছেন‌। এই টাকার সঠিক হিসাব এখনও দিতে পারেননি। এছাড়া এর আগেও তার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ ছিল। একের পর এক অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে সমস্ত সদস্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা চাই, এই ব্যাপারে সঠিক তদন্ত হোক এবং প্রধানকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হোক।” যদিও বা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির প্রধান বিউটি মন্ডল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “চক্রান্ত করে আমাকে পদ থেকে সরানোর জন্য এই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সমস্ত সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক থেকে 45 হাজার টাকা তোলা হয়েছিল। পঞ্চায়েতের আধিকারিকের নির্দেশে উপপ্রধান সহ সমস্ত সদস্যরা টাকা না দিলে বাজেট পাস করানো হবে না বলে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। সমস্ত সদস্যরা মিলে চক্রান্ত করে আমাকে ফাসাতে চাইছেন। আমিও চাই, এই ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করুক প্রশাসন। তাহলেই প্রমাণ হবে, আমি দুর্নীতিগ্রস্ত কিনা।”

আর যেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের লড়ার কথা, সেখানে দলের দখলে থাকা পঞ্চায়েতে যেভাবে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করলেন বিজেপির উপপ্রধান এবং অন্যান্য সদস্যরা, তাতে বিজেপি এখানে চরম বিপাকে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি তৃণমূলের হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে এক নতুন অস্ত্র চলে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে মানিকচক পঞ্চায়েতে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞর।

এদিন বিডিওর কাছে এই পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান সহ একাধিক সদস্য অভিযোগ করার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মানিকচক ব্লকের বিডিও সুরজিৎ পন্ডিত। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!