এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের ৩ প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ দলেরই ১১ সদস্যের! শোরগোল শাসকদলের অন্দরে

তৃণমূলের ৩ প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ দলেরই ১১ সদস্যের! শোরগোল শাসকদলের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমছে না কিছুতেই। এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে তিন তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে দলের অন্যান্য পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের অনাস্থা আনতে দেখা গেল। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে হরিরামপুরে। জানা গেছে, এই পঞ্চায়েত সমিতির তিন কর্মাধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, মাসিদুর রহমান এবং রঘুনাথ সরকারের নামে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের 11 জন সদস্য মহকুমা শাসকের দপ্তরে অনাস্থা প্রস্তাবের একটি চিঠি জমা দিয়েছেন।

তবে এই চিঠিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহকারি সভাপতির কোনোরকম স্বাক্ষর ছিল না। কিন্তু হঠাৎ 3 কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অন্যান্য সদস্যরা এই অনাস্থা আনলেন কেন? একাধিক তৃণমূল সদস্যের অভিযোগ, এই তিন কর্মাধ্যক্ষ বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনা করছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে দলের নির্দেশে তারা এই অনাস্থা এনেছেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও একবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যার ফলে আগামী দিনে চরম সমস্যার মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা 18 জন। তার মধ্যে 15 জন সদস্য রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে একজন বিজেপির, একজন সিপিএম এবং একজন নির্দল সদস্য। আর এর মধ্যেই তৃণমূলের তিনজন সদস্যের বিরুদ্ধে বাকি 9 জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করে তা গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসককে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এতে আশ্চর্যজনকভাবে কোনো স্বাক্ষর থাকতে দেখা যায়নি হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায়ের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “অনাস্থার বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে কি কারণে আমাদের দলের 9 জন সদস্য অনাস্থার জন্য ওই চিঠি করেছেন মহকুমাশাসকের কাছে, সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে ওই তিনজন সদস্য এমন কোনো দল বিরোধী কাজকর্ম করেছেন বলে আমার মনে হয় না।আমাদের দলের নেতৃত্ব বিষয়টি বুঝবেন এবং এই ব্যাপারে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই আশা করি।” অর্থাৎ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, যে 9 জন সদস্য তিনজন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন, তাকে কার্যত সমর্থন করছেন না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।

আর এর ফলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে‌। যদিও বা এই অনাস্থা আনা তৃণমূলের নিমাই সরকার বলেন, “হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির‌ তিন দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে দলের নির্দেশে আমরা অনাস্থা করেছি। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রঘুনাথ সরকার দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আসেন না। তার জন্য উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বাকি সদস্যরা দলের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ না করায় দলেরই নির্দেশে অনাস্থার জন্য চিঠি করেছি।” এদিকে তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, “আমি শুনেছি আমার বিরুদ্ধে আমার দলের 9 সদস্য, বিরোধী সিপিএম এবং নির্দল সদস্য মিলে অনাস্থার জন্য মহকুমার শাসককে চিঠি দিয়েছে। সব মিলিয়ে তিনজন কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এসেছে। দলের অনুগত হয়ে কাজ করে চলেছি। হঠাৎ এমন কি হল, আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। আমার দোষ কোথায়! বিষয়টি আমি দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” তবে যে যাই বলুন না কেন, হরিরামপুরের এই ঘটনায় এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!