তৃণমূল নেতা খুন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলছে পরিবার, জোর শোরগোল রাজ্যে নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য January 15, 2020 রাজ্যে আবার রাজনৈতিক হত্যা। সংবাদ শিরোনামে উঠে এলো এদিন নদীয়ার শান্তিপুরের এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার ঘটনা সামনে আসার পরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূল দলের অন্দরে অভিযোগ উঠেছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই তৃণমূল কর্মীকে খুন হতে হয়েছে। বারংবার এই রাজনৈতিক হত্যা ঘটার ফলে সাধারণ জনগণ স্বাভাবিকভাবেই খুবই আতঙ্কিত। এই ঘটনাটির ফলে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ এসে এলাকায় তদন্তে নেমেছে। এদিন ভরদুপুরে এক তৃণমূল কর্মীকে রীতিমতো কুপিয়ে খুন করা হলো নদীয়ার শান্তিপুরের ব্রহ্মতলায়। তৃণমূল কর্মীর পরিবার থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই তাঁকে হত্যা হতে হয়েছে। এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এই হত্যার ঘটনায়। ঘটনাস্থলের উত্তেজনা আয়ত্বে আনতে পুলিশ এলাকায় আসে এবং ওই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার হঠাৎই দুপুরবেলা বেশ কয়েকজন যুবক মুখে কালো কাপড় বেঁধে এলাকায় প্রবেশ করে এবং শান্তনু মাহাতো নামের এক যুবককে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মাটিতে এবং মুহুর্তের মধ্যে জ্ঞান হারায়। এই দেখে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করতে করতে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। স্থানীয়দের নজরে আসতেই সাথে সাথে রক্তাক্ত যুবকটিকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় ডাক্তাররা। শক্তিনগর যাওয়ার পথেই রাস্তাতে মৃত্যু ঘটে শান্তনুর। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী চলে আসে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শান্তনুর পরিবার থেকে বলা হয়েছে, মৃত শান্তনু ছিল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী সমর্থক। কিন্তু বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে নিজের দলে টানার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন শান্তনুকে। প্রতিবারই বিধায়ককে কার্যত হতাশ করে চেয়ারম্যানের দলেই থেকে যাচ্ছিলেন শান্তনু। শান্তনুর স্ত্রী ঝুম্পার দাবি, ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই শান্তনুকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই হত্যার পেছনে আছে এলাকার বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টি জানার পর অরিন্দম ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, মৃত যুবক কোন মতেই তৃণমূলের কর্মী নয়। কোন ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে খুন হতে পারে সে। শান্তনুর খুনের সঙ্গে তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের কোন রকম যোগাযোগ নেই বলে তিনি দাবি জানিয়েছেন। উপরন্তু তিনি পর্যাপ্ত পুলিশি তদন্তের দাবি করেছেন। শান্তনু হত্যায় এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের উপরমহল থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের যে দাবি করেছে তাঁর স্ত্রী, সে দাবিকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো হত্যাই যথেষ্ট দুঃখজনক তা সে রাজনৈতিকই হোক বা অন্য কোনো কারণে। তবে এটাও ঠিক যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ফলে ক্রমাগত প্রাণহানির ঘটনা ঘটে চলেছে এই রাজ্যে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর এ ব্যাপারে আরও চিন্তাশীল হওয়া উচিত। আপাতত পুলিশের হাতে তদন্ত অনুযায়ী কেউ ধরা পড়েনি। তবে পুলিশি তল্লাশি জারি আছে। আপনার মতামত জানান -