এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ক্ষুব্ধ পিকে, দলের অন্দরে কড়া বার্তা, বৈঠকে হেভিওয়েটরা, কাজ হবে কি? জল্পনা তুঙ্গে!

ক্ষুব্ধ পিকে, দলের অন্দরে কড়া বার্তা, বৈঠকে হেভিওয়েটরা, কাজ হবে কি? জল্পনা তুঙ্গে!


গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারতে হয়েছিল নিচুতলার নেতাদের দুর্নীতি এবং দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিশিষ্ট নির্বাচনী রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সকলকে একসাথে কাজ করার কড়া বার্তা দেন সেই প্রশান্ত কিশোর। আর প্রশান্ত কিশোরের টিমের স্ট্রং নেটওয়ার্ক সকলের দিকে নজর রাখবে, এই আশঙ্কায় তৃণমূলের নেতারা উপরে উপরে একে অপরের সঙ্গে মিল মহব্বত রেখেছিলেন।

কিন্তু ভেতরে যে সম্পর্কের ঘুন ধরতে শুরু করেছে, তা এখন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই খবর পাওয়া যাচ্ছিল যে, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। আর এইরকম ভাবে চলতে থাকলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে সাফল্য পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে, তার সেই টিমের অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন। এমনকি গোটা ব্যাপারটা নিয়ে দলীয় স্তরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আবার যদি ক্ষমতায় আসতে হয়, তাহলে সকলকে একসাথে ময়দানে নামতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

আর প্রশান্ত কিশোরের এই বার্তাকে মান্যতা দিয়েই বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই বৈঠকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে বলে অভিযোগ উঠল। যেখানে এক নেতা অপর নেতার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন। জানা গেছে, ভয়াবহ দুর্যোগের সময় কোচবিহার জেলায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এবং দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ ছাড়া আর তেমনভাবে কাউকেই মানুষের পাশে থাকতে দেখা যায়নি। যা নিয়ে এদিনের বৈঠকে অভিযোগ উঠতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন খোয়ানোর পর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন এবং জেলা তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে করা হলেও, পার্থবাবু এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মধ্যে দ্বন্দ্ব জিইয়ে থাকে। আর বর্তমানে জেলা কমিটির মিটিংয়ে বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ কথা উঠে আসায় রীতিমতো চিন্তায় তৃণমূল নেতৃত্ব‌। এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কিভাবে দল একত্রিত হয়ে লড়বে, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে। অনেকেই চাইছেন, আবার কড়াভাবে হাল ধরুণ প্রশান্ত কিশোর।

কিন্তু বারবার বার্তা দিয়েও যেভাবে পরবর্তীতে গোষ্ঠী কোন্দলে লিপ্ত হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা, প্রশান্ত কিশোর কড়া বার্তা দিলেও কাজের কাজ কতটা হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলে। তবে কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এখন বৈঠক করে সকলকে একত্রিত হওয়ার বার্তা দিলেও, শেষ পর্যন্ত তা কতটা কার্যকরী হয়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!