প্রশান্ত কিশোর ও মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি সাংসদের, শোরগোল রাজ্যে কলকাতা রাজ্য July 30, 2019 লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফল এবং বিজেপির উত্থানের পরই আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর চিন্তাভাবনা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো ভোটগুরু হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে এর জন্য দলের রণনীতিকার হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। আর তৃণমূলের রণনীতিকারের দায়িত্ব পেয়েই একাধিকবার সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল যুবর সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন প্রশান্ত কিশোর। এমনকি বিভিন্ন জেলার সভাপতিদের সঙ্গেও বৈঠক করতে দেখা গেছে তাকে। আর এবার তৃণমূলের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগ যাতে আরও বেশি করে সংঘঠিত হয়, তার জন্য গতকাল নজরুল মঞ্চে দলের নেতা মন্ত্রীদের বৈঠকের পর “দিদিকে বলো” নামে একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে একটি ওয়েবসাইট চালুর পাশাপাশি একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ তাদের সমস্ত অভাব অভিযোগ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানাতে পারবেন। পাশাপাশি গতকাল নজরুল মঞ্চে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের জনসংযোগ যাত্রা উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের আগামী 100 দিনে প্রায় দশ হাজার গ্রামে পৌঁছে সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ, রাত্রি যাপন, এমনকি সেই গ্রাম ছাড়ার পর সেখানে তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূলের এই মাস্টারপ্ল্যানের পেছনে প্রশান্ত কিশোরের সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক রয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন জনসংযোগ যাত্রার গঠন নিয়ে এইরূপ নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই বেশ কিছুদিন আগে বিজেপির পক্ষ থেকে এইরূপ জনসংযোগ যাত্রা করা হয়েছে। ফলে তৃণমূল এখন চাপে পড়ে বিজেপির নকল করছে বলে দাবি করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বাংলার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “বিজেপির কপি পেস্ট করেই তৃণমূল এখন সব চালাচ্ছে। যবে থেকে আমরা জয়ী হয়েছি তখন থেকেই আমাদের সাংসদ, বিধায়কদের নম্বর এলাকার মানুষের কাছে দেওয়া রয়েছে। অনেক আগে থেকেই আমাদের বিস্তারক সভা হচ্ছে। তৃণমূল আমাদের কপি করে এখন চলার চেষ্টা করছে।” অন্যদিকে তৃণমূলের রননীতিকার হিসেবে প্রশান্ত কিশোর নিযুক্ত হলে তাকে কোথা থেকে অর্থ দেওয়া হচ্ছে, তার রহস্যও এদিন উন্মোচন করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মানুষের থেকে নেওয়া কাটমানির টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সাধারণ মানুষের সেই টাকাই এখন প্রশান্ত কিশোরকে দেওয়া হচ্ছে।” অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন, তাই এখন প্রশান্ত কিশোরকে বিশ্বাস করছেন বলেও এদিন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বাংলার এই বিজেপি সাংসদ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কথা আক্রমণ হিসেবে শোনালেও এর অনেকাংশেই যুক্তি রয়েছে। কেননা প্রথমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছোতে বাংলায় বিজেপি নেতারাই সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে তাদের অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি তাদের বাড়িতে থেকে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন। যা নিয়ে তৃণমূল কম কটাক্ষ করেনি। আর এবার তৃণমূল জনসংযোগ হিসাবে সেই প্রক্রিয়াকেই পাথেয় করে চলতে চাইলে বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হল তাদের। আপনার মতামত জানান -