এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ফের শাসকদলের দু গোষ্ঠীর লড়াই, জেনে নিন বিস্তারিত

ফের শাসকদলের দু গোষ্ঠীর লড়াই, জেনে নিন বিস্তারিত

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই মুহূর্তে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুরু থেকেই তৃনমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিলই। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে কোচবিহার এলাকায় বোমা, গুলি, আগুন সহযোগে তীব্র সংঘর্ষ। কোচবিহারে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের মধ্যেই দুই গোষ্ঠী বর্তমান। একদিকে উদয়ন গুহ অন্যদিকে মীর হুমায়ুন কবীর। এই দুই দলের সংঘর্ষে রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এদিন কোচবিহার দিনহাটা এলাকার শালমারা অঞ্চল।

সূত্রের খবর, স্থানীয় বাজারসহ বেশ কয়েকটি মোটরবাইক এই সংঘর্ষে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষের এই হাতাহাতিতে অন্তত 10 জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ও ব্লক সভাপতি মীর হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। বোমা, বন্দুক, লাঠি, রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তাঁরা। মূলত দীর্ঘদিন ধরেই কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা কমিটি এবং ব্লক কমিটি গঠনের পর স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির মনোমালিন্য শুরু হয় বলে জানা যাচ্ছে। ব্লক সভাপতি মীর হুমায়ুন কবীরের কথায়, ”যাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজ করল তাঁরাই এখন দলে গুরুত্ব পাচ্ছে।”

কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একাংশের মতে, জেলা কমিটি এবং ব্লক কমিটি গঠনের পরে মীর হুমায়ুন কবীর ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি নাম না করেই উদয়ন গুহকে আক্রমণ করেন। মীর হুমায়ুন কবির একাই নন, কোচবিহার জেলার অন্যতম বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা এবং কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীও নাম না করেই উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন । সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে দিনহাটা 2 ব্লকের শালমারা এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয় তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে। সংঘর্ষের মধ্যেই বাজারের একাংশে কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়। বেশ কয়েকটি কাঁচা দোকানঘর পুড়ে যায়, এমনকি কয়েকটি মোটর বাইকেও আগুন লাগানো হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সংঘর্ষ প্রাথমিকভাবে আটকাতে পারেনি বলে জানা গেছে। পরে জেলা সদর থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পৌঁছায় শালমারায়। ঘটনার সূত্রপাত- বৃহস্পতিবার মীর হুমায়ুন কবীর একটি বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করেন। যেখানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় এলাকার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর নাম ছিল না। বিজয় সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে নাম না করেই হুমায়ুন কবীর এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশ ক্রমাগত উদয়ন গুহর সমালোচনা করতে থাকেন। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে উদয়ন বিরোধ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে গোটা জেলা শুরু হয়ে যায় নানান তির্যক মন্তব্য।

আর তার জেরেই এই সংঘর্ষ বলে মনে করছেন তৃণমূল শিবিরের অনেকেই। এখনো পর্যন্ত এই সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবীর বা উদয়ন গুহর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি এই ঘটনা নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ও কোন বিবৃতি দেননি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত রয়েছে। এলাকা রীতিমত থমথমে হয়ে রয়েছে। ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশও তদন্তে নেমেছে। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশের হাতে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু যেভাবে কোচবিহার জেলায় শুরু হয়েছে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তাতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ ফিরে পাওয়ার আশা বিশবাঁও জলে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুবিধা অবশ্যই বিরোধী শিবির নেবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই অবস্থায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে এবার তৃণমূল নেত্রী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সে দিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!