প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এই পর্বে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ সফরে এসে আজ বেলা ১২ টায় অজয় চক্রবর্তীর সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রুতিনন্দনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানালেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আগমনের কথা শুনে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, ” আমন্ত্রণ করিনি। আসতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি তাঁকে স্বাগত জানাব।” আজ শ্রুতি নন্দনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রুতিনন্দনে আসার পর থেকেই পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে, জল্পনা ছড়াচ্ছিল। এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানালেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।

শ্রুতিনন্দনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ” অমিত শাহের মত একজন ব্যক্তি এসেছেন, এই সম্মান পাওয়ার জন্য আমি গুরুদের ধন্যবাদ দেব।” তবে, তিনি জানালেন যে, রাজনীতির ব্যাপারে কোনো কথাবার্তা তাঁর হয়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে অজয় চক্রবর্তী জানালেন যে, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নন। তাঁর দল একটাই, যা হলো সংগীত। তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লির বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে জানালেন তিনি।

ইতিপূর্বে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন যে, তিনি সঙ্গীতশিল্পী। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। তিনি রাজনীতির ব্যাপারে কিছুই বোঝেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রমুখরা। আজ তাঁর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে তীব্র কটাক্ষ করল তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর মনোভাবের লোক, তিনি কবে থেকে সঙ্গীতপ্রেমী হলেন?

অন্যদিকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী জানালেন যে, বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তাঁর ছাত্র। বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে তাঁর দাদা- ভাইয়ের সম্পর্ক রয়েছে। মুম্বাইয়ে বাবুল সুপ্রিয় বাড়িতে তিনি বেশ কয়েকবার গিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন যে, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তাঁর ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আবার একই সঙ্গে মনমোহন সিং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে ‘সম্পর্ক ফর সমর্থন’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল বিজেপি। সেবারে মাধুরী দীক্ষিত, সালমান খান, কপিল দেবের মত তারকাদের বাড়িতে যেতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতারা। সেবারে পশ্চিমবঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাহুল সিনহার উপস্থিতি নিয়ে তীব্র জল্পনা চলছিল বাংলা রাজনীতিতে। এদিকে সামনেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের পর্বে বুদ্ধিজীবীদের মন জয়ে বিশেষ প্রচেষ্টা বিজেপির।

অন্যদিকে আজ সকালে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে পুজো দিয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাংসদ বাউল সুপ্রিয়, অনুপম হাজরা প্রমুখরা।পুজো শেষে মন্দির থেকে বেরিয়ে অমিত শাহের বক্তব্য, ” এই ভূমি শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্যের। বাংলার হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। তোষণের রাজনীতিতে ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বাংলার এই ভূমি পবিত্রভূমি। বাংলাবাসীকে বলব একজোট হয়ে দায়িত্বপালন করুন। মা কালীর কাছে গোটা দেশ তথা বাংলার মঙ্গল কামনা করেছি। মোদির নেতৃত্বে দেশ সেরার সেরা হবে তাই চাই।”