এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কে কোথায় টিকিট পাবেন বড় কথা নয়, একমাত্র লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে আড়াআড়ি ভাঙা – স্পষ্ট করলেন বিজেপি নেতা

কে কোথায় টিকিট পাবেন বড় কথা নয়, একমাত্র লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে আড়াআড়ি ভাঙা – স্পষ্ট করলেন বিজেপি নেতা


বিজেপির কেন্দ্রীয় অধিবেশন উপলক্ষে বাংলা বিজেপির সমগ্র রাজ্য নেতৃত্ব তো বটেই, এমনকি জেলা নেতৃত্বও আপাতত দিল্লিতে। কিন্তু, তার মাঝেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট প্রাপ্তি নিয়ে। এ বারে নজিরবিহীনভাবে লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপির টিকিট পাওয়া নিয়ে চাহিদা তুঙ্গে। রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা আসনের জন্য গড়ে ১২-১৫ টি করে আবেদন জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর।

সবথেকে বড় কথা এই টিকিট প্রত্যাশীদের অধিকাংশই হলেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, রাজ্য কমিটির সদস্য এবং দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী নেতা। যদিও, কিছুদিন আগেই রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কোনো পদাধিকারী টিকিট পাবেন না। কিন্তু, সূত্রের খবর তার পরেও হাল ছাড়তে রাজি নন গেরুয়া শিবিরের ওই কর্মকর্তারা। রাজ্যে তো বটেই – এই নিয়ে তাঁরা নাকি দিল্লিতেও নিজেদের মত করে প্রভাব খাটাতে শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এর মাঝেই মুকুল রায়ের হাত ধরে প্রথমে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় ও পরে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌমিত খাঁ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বোলপুর লোকসভার বহিস্কৃত তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে তীব্র জল্পনা। একইসাথে জলনা ছড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক সাংসদ, বিধায়ক ও নেতা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নাকি বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা – এঁরা দলে এলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সিংহভাগ টিকিট এরাই নিয়ে যাবেন। ফলে, এতদিন দলের জন্য রক্ত-ঘাম ঝরানো নেতাদের মনে নাকি তীব্র অসন্তোষ তৈরী হয়েছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে বিজেপির এই প্রসঙ্গে ভাবনা চিন্তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিজেপি এখন রাজ্যে দুই নম্বর রাজনৈতিক দল, সেখান থেকে পয়লা নম্বর হতে গেলে স্বাভাবিক নিয়মেই বর্তমান শাসকদল থেকে নেতা ভাঙিয়ে দলকে বড় করতে হবে। ইতিমধ্যেই ঘাসফুলের একজন এমপি আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও অনেক এমপি, এমএলএ, নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন।

প্রতাপবাবুর আরও বক্তব্য, ফলে দল বাড়বে – আমাদের আরও উদার হতে হবে। এখানে ব্যক্তিগত স্বার্থ কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। লোকসভা ভোটের আগে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে আড়াআড়ি ভাঙা – দেখতে গেলে, সেই লক্ষ্যে কিছুটা এগলাম। এখনও লোকসভা ভোটের টিকিট নিয়ে ভাবার সময় আসেনি। কে বা কারা বিজেপির প্রতীকে এমপি ভোটে লড়বেন, তা ঠিক করবে দলের জাতীয় নির্বাচন কমিটি। তাই, এসব নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের বেশি না ভেবে সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশ মেনে আসন্ন নির্বাচনে ২২ টি লোকসভা আসন সুনিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!