এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চীনের সঙ্গে কি যুদ্ধ আসন্ন, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেলের মন্তব্যে জল্পনা!

চীনের সঙ্গে কি যুদ্ধ আসন্ন, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেলের মন্তব্যে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- চীনের সঙ্গে বর্তমানে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা সুখকর নয় বলেই প্রতিভাত হয়েছে বিগত কয়েক মাসে। মে মাস থেকে ভারত-চীন সীমান্তে লাদাখে যেভাবে চিনা সেনাদের উপদ্রপে অশান্তি তৈরি হয়েছিল, তাতে তার প্রভাব পড়েছিল দুই দেশের অর্থনীতিতে। সেইসঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যেও বিস্তর দূরত্ব লক্ষ্য করা গেছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় চীনের এহেন আচরণ আন্তর্জাতিক মহলে তাদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছিল বলেই মনে করেছিলেন কূটনৈতিকরা।

এমন পরিস্থিতিতে চীনের সঙ্গে ভারতের যেকোনো সময় যুদ্ধ লাগতে পারে বলেই মনে করা হয়েছিল। আর সেখানে চীনের আগ্রাসন নীতিকেই দায়ী করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেলের মন্তব্যে আবারো সেই যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তিনি জানান, ভারত চীন সীমান্তে যদি আবারো কোনো বড় রকমের গোলমাল হয় বা বিনা প্ররোচনায় যদি চীন ভারতের ওপর হামলা চালায়, তবে বড় ধরনের সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে।

আর এর ফলে যে ভারত চীন সম্পর্ক বেশ প্রভাবিত হবে, সে কথাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে তাঁর মতে চীন এবং পাকিস্তান জোট বেঁধে লাদাখ তথা সমগ্র ভারতের যে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাতে বড় অশান্তি শুরু হবার ক্ষেত্রে অসম্ভব কিছু নয় বলেই মনে করেছেন তিনি। এদিন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের এক ওয়েবনারে তিনি বলেন, চিনের সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা কম হলেও, সামগ্রিকভাবে যদি নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায়, তাহলে সীমান্তে এরম চলতে থাকা ছোটখাটো সংঘর্ষ, বা চীনের ভারতের মধ্যে ঢুকে পড়া, বিনা প্ররোচনায় আক্রমণ করা, এগুলি থেকে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এদিন চিফ অব আর্মি স্টাফের কথায়, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের আশপাশে এখন যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে বলেই জানা গেছে। সেইসঙ্গে চিনারা বার বার সীমান্ত লঙ্ঘন করছে, আক্রমণও চালাচ্ছে বলেও জানা যায়। শুধু তাই নয়, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ভারতে হামলা করতে এসে যে খুব কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে এবং ভারতের সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে তাদের প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছে সেকথা চীন ভাবতে পারেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর কথায় ভারতের অবস্থান পরিষ্কার। তিনি জানান ভারত চায় লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল যেখানে আছে, সেখানেই থাকুক। তার কোনও পরিবর্তন ভারত চায় না। তবে চীন কেন এমন করছে, সেই কথায় তিনি বলেন, করোনা অতিমহামারীর ফলে চিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেজন্যই তারা আগের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে বলে মনে করেছেন তিনি।

সেইসঙ্গে দক্ষিণ চিন সমুদ্র, পূর্ব চিন সমুদ্র এবং তাইওয়ান প্রণালীতে তারা আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, আগামী কয়েক বছর চিন দুর্বল দেশগুলিকে অর্থনৈতিকভাবে আরও শোষণ করতে চাইছে, সামরিক বাহিনীর আরও আধুনিকীকরণ করছে এবং পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে আরও বেশি প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই সম্ভবত দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, গত অক্টোবরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানান, ৩০ বছর ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে একটা ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তার প্রভাব সীমান্তেও দেখা যাচ্ছিল। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্কে বড় ভাঙন ধরেছে বলেই জানা গেছে। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে দু’দেশের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমেই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যত কম সেনা মোতায়েন করা রাখা যায় তত ভাল মনে করা হয়। সেইমতো কাজও করা হয়েছিল। কিন্তু চিনের আগ্রাসী মনোভাব সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরিয়েছে বলেই অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আর তার কারণ স্বরূপ ‘দু’দেশের মধ্যে নীতি নিয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা ও সেইমতো কাজও হয়েছিল বলেই জানান তিনি। কিন্তু লাদাখ সীমান্তে ক্রমাগত চিনা সেনা মোতায়েন থেকে এখন একটা দেশ সেই চুক্তি ও আলোচনা থেকে ক্রমাগত সরে আসছে বলেই দেখা গেছে। আর যখন সীমান্তে দু’দেশের সেনা খুবই কাছাকাছি থাকে তখন ১৫ জুনের মতো কিছু ঘটনা ঘটে যায়। তাতে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায় বলেই জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!