এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিএসি চেয়ারম্যানের দাবিদার মুকুল, পাল্টা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর! শোরগোল রাজ্যে!

পিএসি চেয়ারম্যানের দাবিদার মুকুল, পাল্টা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর! শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করার পরেই প্রথমে তিনি বিজেপির বিরোধী দলনেতা হতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পান শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর থেকেই মুকুল রায়কে বিজেপির পক্ষ থেকে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হতে পারে বলে মনে করা হয়। কিন্তু তার মাঝেই শিবির পরিবর্তন করেন মুকুল রায়। ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

আর এরপর থেকেই মুকুল রায়কে চাপে রাখতে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেছে বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। ইতিমধ্যেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই ব্যাপারে দরবার করেছেন তিনি। আর তার মাঝেই পিএসি কমিটি নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে জটিলতা। মনে করা হয়েছিল, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই কমিটির চেয়ারম্যান এবার নিজেদের হাতে রাখা হবে। সেদিক থেকে সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মুকুলবাবুকে এই গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যান করতে পারে তৃনমূল কংগ্রেস। তবে বিজেপিও নাছোড়বান্দা।

এক্ষেত্রে বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীকে এই কমিটির চেয়ারম্যান করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে দুই দলের মধ্যে পিএসসি কমিটি নিয়ে দড়ি টানাটানি ক্রমবর্ধমান, তার মাঝেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের মনোনয়নপত্র জমা হল পিএসি কমিটির সদস্যপদের জন্য। তবে মুকুল রায়ের নামে গুরুত্বপূর্ণ কমিটির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলেও, তাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী‌‌। যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য বিধানসভায়।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ যাতে খারিজ করা যায়, তার জন্য অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা। জানা গেছে, আগামী 16 জুলাই এক্ষেত্রে শুনানির দিন ঠিক করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। আর এই পরিস্থিতিতে পিএসি কমিটিতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়ের নামে মনোনয়নপত্র জমা হওয়ায় তা নিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “উনি বিধায়কই থাকবেন না, তো পিএসির সদস্য বা চেয়ারম্যান তো পদের প্রশ্ন! 16 তারিখ স্পিকার আমাকে ডেকেছেন। আমি সেদিন আমাদের দলত্যাগ বিরোধী আইনের আবেদনের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ জমা দেব। প্রয়োজনে আদালতে যাব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ যত গন্ডগোল, দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে। তাই সেই আইন কার্যকর করে যাতে পরবর্তীতে আর দল ভাঙানোর কোনো রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেস বেছে নিতে না পারে, সেদিকেই জোর দিতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেই কারণেই মুকুল রায়কে পিএসি কমিটিতে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই তাকে খন্ডন করে তার বিধায়ক পদ থাকবে না বলে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অতীতে বিরোধীদলের জায়গায় থাকা বাম এবং কংগ্রেস বারবার দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে সরব হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষকে এই ব্যাপারে কোনো রকম পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জনপ্রতিনিধিরা কিভাবে বিধায়ক আছেন, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে সেভাবে কোনো পক্ষের পক্ষ থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে দল ভাঙ্গানোর প্রক্রিয়া ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল রাজ্যজুড়ে।

তবে এবার বিজেপি বিরোধী দলের জায়গা দখল করার পরেই মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে না দিতেই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে দল ভাঙ্গানোর রাস্তা আটকাতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে পিএসি কমিটি নিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সত্বেও, সেখানে মুকুল রায়ের নাম থাকার পরেই তা নিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন।

যেখানে কোনোভাবেই মুকুলবাবু বিধায়ক থাকবেন না বলে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে শুনানির কথা জানিয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের জনপ্রতিনিধি থাকার ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!