এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপির ৩৫৬ ধারার দাবীকে নস্যাৎ করে দিয়ে পাল্টা প্রতিবাদ বিজেপি হেভিওয়েটের, চূড়ান্ত অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

বিজেপির ৩৫৬ ধারার দাবীকে নস্যাৎ করে দিয়ে পাল্টা প্রতিবাদ বিজেপি হেভিওয়েটের, চূড়ান্ত অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – খুব বেশিদিন হয়নি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার সাথে সাথেই কিছুদিনের মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির নতুন জুটি তৈরী হয় শুভেন্দু-রাজীব, যাঁদের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে চাপে ফেলার জন্য বিজেপি ব্যাপকভাবে কাজে লাগায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরতে এই জুটি ভেঙে যায়।

যথারীতি শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে পরিচিতি পেলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু রাজনৈতিক নির্বাসন বেছে নেন এবং চলে যান আড়ালে। কিছুদিন ধরেই অবশ্য শোনা যাচ্ছিল তিনি তৃণমূলে ফিরে আসতে চান আবার। কিন্তু আজকে হঠাৎ করেই তিনি বিস্ফোরকভাবে ধরা দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজকে শুভেন্দু অধিকারী দিল্লীতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছেন, বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ক্রমাগত রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। এক্ষেত্রে 356 ধারা প্রয়োগের দিকেই ইঙ্গিত করেছে শুভেন্দু অধিকারী বলে মনে করা হচ্ছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ফোরক হয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট দিয়ে জানিয়েছেন, কথায় কথায় যদি নির্বাচিত সরকারের বিরোধিতা এবং সমালোচনা করে 356 ধারা জারি করার ভয় দেখানো হয়, তা কিন্তু বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবেনা। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে করোনা এবং ইয়াস মোকাবিলায় একসাথে কাজ করা উচিত।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোষ্ট সামনে আসার সাথে সাথে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। বিগত দিনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা বহু নেতা-নেত্রী ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অন্যদিকে আজকে হেস্টিংসে বিজেপির বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। সেই বিতর্ক চলতে চলতেই আরো বড়সড় বিতর্কের সূত্রপাত হল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে।

অন্যদিকে স্পষ্টতই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি ঘিরে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবির। আজকে হেস্টিংসের বৈঠকের শেষে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি নেতারা বাংলার রাজনৈতিক হিংসার প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি পাঠাবেন।

ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর পোস্ট বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত এই বিতর্কের রেশ যে বহুদূর গড়াবে, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ রাজনীতির কারবারিরা। আজকে হেস্টিংসের বৈঠকে কিন্তু বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা নেত্রী কিন্তু এড়িয়ে গেছেন বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!