প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্ধমান শহর থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সেন বা খোকনকে। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো, তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক ভাবে মারধর করা, তাদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গতকাল তাঁকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সেনকে। বিজেপি করার কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ভোটের সময় থেকেই বর্ধমানে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ ঘটেছে। পঞ্চম দফা ভোটের পর বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর মাঠ, মেহেদিবাগান, রথতলা, কাঞ্চননগর এলাকাতে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় এলাকার বহু বাড়িতে চলেছে ভাঙচুর। মারামারিতে দুই দলের বেশ কিছু কর্মী সমর্থক আহত হন। এরপর লক্ষ্মীপুর মাঠে আবার বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময়ে একাধিক তৃণমূল কর্মীকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছিল বলে, অভিযোগ করা হয়েছে। একাধিক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, প্রচুর বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে, স্থানীয় ক্লাবেও ভাঙচুর করা হয়েছে এমন একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

এরপর বর্ধমানের রথতলা এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ হাজরা বর্ধমান থানায় বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। এরপর, গত বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহরের কালী বাজার আমতলা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সেনকে। গতকাল তাকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাঁকে ১০ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইয়া তাঁকে পুলিশের হেফাজতে রাখার আবেদন জানান।

তবে আদালতের পক্ষ থেকে ১০ দিনের পরিবর্তে ৪ দিন তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভোটের পর বর্ধমান শহরের বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। যা নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ সেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বর্ধমান থানাতে। কয়েকটি মামলার চার্জশিট ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে।

তবে, এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন জানালেন যে, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে বিশ্বজিৎ সেনকে। বিজেপি করার অপরাধে দলদাস পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাঁকে। আবার, বিশ্বজিৎ সেনের আইনজীবী অমল দত্ত এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, ইতিপূর্বে এই ঘটনায় ১৪ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। দুপক্ষ এ বিষয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সেনকে।