প্রাথমিক শিক্ষকদের পরীক্ষার আগেই ফাঁস প্রশ্নপত্র! মানতে নারাজ জেলা শিক্ষা সংসদ, তদন্তের দাবি শাসক-বিরোধী একযোগে উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য December 21, 2018 বর্তমানে, রাজ্যের সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এবং বেসরকারি নিম্ন বুনিয়াদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের মানোন্নয়নে দুবছরের ডিইএলএড কোর্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্য সরকার অল্প খরচে শিক্ষকদের জন্য এই কোর্স করে দেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আর, নিজেদের চাকরি বাঁচাতে, রাজ্যের যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই কোর্স করা নেই – তাঁরা কর্মরত অবস্থাতেই এই কোর্স করছেন। গতকাল, দেশজুড়ে ডিইএলএড কোর্সের পরীক্ষা হয় – ব্যতিক্রম ছিল না পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাও। সেখানে, মোট ১২ টি কলেজে বেলা ২ টো থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ওই জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য। কিন্তু, অভিযোগ – যে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা দুপুর ২ টোয় – তার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের হোয়াটস্যাপে সকাল থেকেই ঘুরতে থাকে। ফলে, পরীক্ষার হলে ঢোকার আগেই – বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার জানা হয়ে যায় প্রশ্ন। সবথেকে বড় কথা – পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন ও সকালে হোয়াটস্যাপে ঘুরতে থাকা প্রশ্ন হুবহু এক! স্বাভাবিকভাবেই, শিক্ষকমহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে – কে বা কারা আছে এই প্রশ্ন ফাঁসের পিছনে? বহু পরীক্ষার্থী-শিক্ষক এই নিয়ে পরীক্ষার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অনেকেই এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে বলেও দাবি করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় – এরকম কোনো প্রশ্নফাঁসের কথা তাদের জানা নেই। জেলার ১২ টি পরীক্ষাকেন্দ্রের কোথাও কোনো গন্ডগোল বা বিক্ষোভের খবরও তাদের জানা নেই। সবজায়গাতেই সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে – এমনকি, বালুরঘাট ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র নির্দিষ্ট সময়ে কলেজগুলিতে পাঠানো হয়েছে, সেখানেও কোনো অভিযোগ আসে নি। তবে, অভিযোগ উঠলে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। এই নিয়ে বাম মনোভাবাপন্ন বা দক্ষিণপন্থী শিক্ষক সংগঠন সকলেই জানিয়েছেন যে প্রশ্নফাঁস কোনো মতেই অভিপ্রেত ঘটনা নয় – এই নিয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। বিরোধী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, এই কোর্সের ব্যবস্থা যেহেতু রাজ্য সরকার করে দিয়েছে – তাই, প্রশ্নফাঁস হয়ে থাকলে তার দায়ও রাজ্য সরকারের – এই নিয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। অন্যদিকে, শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য – রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের পিআরটি স্কেল নিয়ে রাস্তায় নেমে তীব্র আন্দোলনের ফলে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত ঝড় উঠে গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও তো শারীরিক হেনস্থার পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে গুলিও চলছে – যা রাজ্য প্রশাসনকে রীতিমত অস্বস্তিতে রেখেছে। আর তাই কেউ বা করা পরিকল্পিতভাবে শিক্ষকদের হেনস্থা ও বদনাম করতে এইভাবে প্রশ্নফাঁস করছে – দোষীদের খুঁজে বের করে যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। আপনার মতামত জানান -