কুচবিহারে তৃণমূলের নির্বাচনী সভায় প্রার্থীই গরহাজির! সব দায়িত্ব কাঁধে নিলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গ রাজ্য March 16, 2019 লোকসভা ভোটে তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিল কোচবিহারের জোড়াফুল শিবির। শীতলকুচিতে প্রথম নির্বাচনী সভা হয়ে গেল এদিন। শীতলকুচি মার্কেট কমপ্লেক্সের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এই সভায় কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং স্থানীয় বিধায়ক হিতেন বর্মন উপস্থিত হলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলীয় প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারির গরহাজির নজর কেড়েছে সকলের। কারণ প্রথম নির্বাচনী সভায় প্রার্থী পরেশবাবু উপস্থিত থাকবেন দলের তরফ থেকে এমনটাই প্রচার করা হচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। কিন্তু এদিন তিনি না আসায় দলীয় কর্মীরাই হকচকিয়ে যান। তবে দলীয় কর্মীদের বিভ্রান্তি দূর করতে রবীন্দ্রনাথ বাবু জানান,’পরেশবাবু কলকাতায় দলনেত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগদান করতে গিয়েছেন। শুক্রবারই তিনি ফিরবেন। পরবর্তীতে তিনি শীতলকুচিতে এসে সভা করবেন।’ এদিন শীতলকুচির পর মাথাভাঙা-১ ব্লকের শিকারপুরেও নির্বাচনী সভা করেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। শীতলকুচিতে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। বলেন,’বিগত নির্বাচনে দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী লড়াই করেছিল। এবারে সবাই মতাদর্শ বজায় রেখে একটি ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হিন্দি বলয়ে বিজেপি এবারে শূন্য পাবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও তাদেরকে শূন্য হাতে ফিরতে হবে।’ এরপর রাজ্যসরকারের কন্যাশ্রী,রূপশ্রী,লোকপ্রসারের মতো জনস্বার্থমুখী প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে প্রার্থী বদল নিয়ে কোনো কথাই বলেননি তিনি। তবে শীতলকুচিতে প্রচার শুরুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,প্রাক্তন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সবথেকে অত্যাচারিত এলাকা ছিল শীতলকুচি। তাই এই এলাকাকে দখলে আনতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও প্রচার কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছিল। আর কোচবিহারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারও এখান থেকে শুরু করে তৃণমূল বুঝিয়ে দিল শীতলকুচি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ শাসকদলের কাছে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন,বিগত বাম এবং কংগ্রেস আমলে শীতলকুচিতে যে উন্নয়ন হয়নি,তার তিন গুন উন্নয়ন হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। তাই রাজ্যসরকারের উন্নয়নের রথের চাকা এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। সাত বছরের সময়কালে তাই উন্নয়নকে আরো তরান্বিত করতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীকেই সমর্থন করতে হবে। আর সেকারণেই দলীয় প্রার্থী পরেশবাবুকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার স্বপক্ষে সওয়াল তুললেন তিনি। তবে কোচবিহারে প্রথম নির্বাচনী সভাতেই এভাবে তৃণমূল প্রার্থীর উপস্থিত না থাকায় কর্মীদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে বক্তব্যের মাঝেই জেলা সভাপতি জানিয়ে দিলেন দলনেত্রী এদিন কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠক করবেন সেজন্যেই পরেশ বাবু কোলকাতায় রয়েছে৷ শুক্রবার তিনি কোচবিহার ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরই জেলার প্রতিটি ব্লক এবং পাঁচ-ছয়টি অঞ্চল ধরে সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। অঞ্চল সভাপতিরা প্রতিটি বুথ ধরে এবং ব্লক সভাপতিরা অঞ্চল ধরে সভা করবেন। পরেশবাবু প্রথম নির্বাচনী সভাতে আসতে না পারলেও শীতলকুচির পরবর্তী সভাগুলোতে আসবেন বলেও জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রের খবরে। তবে এ ব্যাপারে পরেশবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি কিছু। তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -