এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদায় রাহুল গান্ধীর সভায় জনজোয়ার হতেই কংগ্রেসকে বিজেপির “বি-টিম” বলে আক্রমণ শুরু শুভেন্দু-মৌসমের

মালদায় রাহুল গান্ধীর সভায় জনজোয়ার হতেই কংগ্রেসকে বিজেপির “বি-টিম” বলে আক্রমণ শুরু শুভেন্দু-মৌসমের


সম্প্রতি মালদহের চাচোলের নির্বাচনী সভায় এসে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। এমনকি মালদহ জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলে এবং বর্তমানে তৃণমূলের প্রতীকে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হলে সেই মৌসম বেনজির নূরকেও “বিশ্বাসঘাতক” বলে আখ্যা দেন রাহুল গান্ধী।

আর দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এহেন চড়া সুরে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত হতে দেখা যায় মালদহ জেলা কংগ্রেসের নেতা এবং কর্মীদের। তবে এবার সোমবার সেই চাচোলের কলমবাগানের সভা থেকেই পাল্টা রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে খোঁচা দিলেন মালদহ জেলা তৃনমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিনের সভায় প্রথমেই বক্তব্য রাখেন উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মৌসম বেনজির নূর। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী তাকে “বিশ্বাসঘাতক” বলায় এদিন তার পাল্টা সেই কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে মৌসম বেনজির নূর বলেন, “মালদহে যখন বন্যা হয়েছিল তখন রাহুলজিকে আমি ডেকেও পাইনি। কালিয়াচকে যখন আফরাজুল ভাইকে খুন করা হয়েছিল, তখন কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমি ডেকে পাইনি, মালদহে যখন বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ছিল, তখন আমি কংগ্রেসকে বলেও কিছু করতে পারিনি‌। আর এই প্রতিটা সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। আর তাই যা করেছি মালদহের মানুষের কথা ভেবেই করেছি। আর মানুষের কথা ভাবাকে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতক বলে তাহলে মানুষই তার যোগ্য জবাব দেবে।”

এদিকে এরপরই এদিনের সভায় মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে উঠে মালদহ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকে “রাহুল বাবা” বলে কটাক্ষ করে বলেন, “কারা মৌসমকে বিশ্বাসঘাতক বলছে! সোমেন মিত্র তো দুদিন আগে পর্যন্ত তৃণমূলে ছিলেন। গত 19 শে মার্চ ব্রিগেডে আমাদের সভায় সোনিয়া গান্ধী লিখিত চিঠি তার প্রতিনিধিরা এনেছিলেন।

সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার কথা বলা হয়েছে। আসলে বিজেপির বি টিম এখানকার কংগ্রেস নেতাদের কথায় রাহুল গান্ধী এসে বিজেপির কট্টরবিরোধীদের দুর্বল করার চেষ্টা করছেন। রাহুলবাবা জেনে রেখো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দেন না, তিনি কাজটা করেন।”

অন্যদিকে কংগ্রেসকে আরও কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কংগ্রেসের একাংশ বিজেপিকে তোল্লা দিচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে কংগ্রেসকে নিজেদের জোট থেকে বের করে দিয়েছে অখিলেশ যাদব। এখানে একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির সাথে বোর্ড করতে চেয়েছেন। তাই মাথায় রাখবেন কংগ্রেস অআর বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে টিম। দক্ষিণ মালদায় আমাদের এই সভায় যে ভিড় হয়েছে এটা শুধুমাত্র ট্রেলার। মুখ্যমন্ত্রী যেদিন আসবে সেদিন আসল শো দেখাবো।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কিছুদিন আগেই মালদহে এসে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলে এদিন তারই পাল্টা সেই রাহুল গান্ধীকে জবাব দিতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এহেন সভা করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর এই সভা থেকেই কংগ্রেস এবং বিজেপিকে একে অপরের বন্ধু বলে অভিহিত করে রাহুল গান্ধীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!