এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজীবের ইস্তফা, গুরুত্ব দিতে নারাজ হেভিওয়েট মন্ত্রী! বাড়ছে চিন্তা

রাজীবের ইস্তফা, গুরুত্ব দিতে নারাজ হেভিওয়েট মন্ত্রী! বাড়ছে চিন্তা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাওড়া জেলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মূল দ্বন্দ্ব রয়েছে প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের, তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলেই একথা শোনা যায়। বেশ কিছুদিন ধরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শাসকদলের অন্দরমহলে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। তবে হঠাৎ করেই আজ রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই শাসকদলের অন্দরমহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এবার হয়ত তৃনমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।

অতীতে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে একাধিক হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ৈর মত হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব মন্ত্রী পদ ছাড়ার পর তার মান ভাঙানোর চেষ্টা করবে শাসকদল বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তা তো দূর অস্ত, বরঞ্চ মানভঞ্জন না করে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই সরব হতে দেখা গেল হাওড়া জেলার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়কে। যার ফলে হাওড়া জেলায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে শাসকদলের চাপ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিবৃতি দেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, “ভালো কাজ করলে অভিযোগ হয়। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা জেলায় লক্ষাধিক কর্মী টিএমসি দুর্গ অটুট রাখব। 2 জন মন্ত্রী ছেড়ে গেলেও যায় আসে না। যখন পতাকা ধরার লোক ছিল না, তখন এরা ছিল না। এরা দলের মর্ম বুঝবে না। আরও জল গড়াবে গঙ্গা দিয়ে। তবে তাতে গঙ্গার জল অপবিত্র হবে না। 16-0 আসনে জয়লাভ করব। রাজীবের সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে কথা হয়। তবে মনোমালিন্য নেই। রাজীবের সুমতি হোক।”

আর অরূপ রায়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে হাওড়া জেলা জুড়ে। অনেকে বলছেন, অতীতে মুকুল রায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তাই তার মত স্বচ্ছ এবং জনপ্রিয় ব্যক্তি যদি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে শাসক দলকে অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে যেতে হতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীপদ ছাড়ার পর তার মানভঞ্জন করার সবথেকে বেশি উচিত ছিল তৃনমূল কংগ্রেসের। কিন্তু তা না করে যেভাবে কেউ গেলে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়, তাতে রাজীববাবু আরও ভয়াবহ পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, কিছুদিন আগে থেকেই দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করা শুরু করেছিলেন এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না সহ একাধিক মন্তব্য করে শাসকদলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যার ফলে তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল যে, হাওড়া জেলায় অরূপ রায়ের সঙ্গে প্রধান দ্বন্দ্ব রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তারপরই হঠাৎ করে মন্ত্রীপদ থেকে রাজীববাবুর ইস্তফা রীতিমত আলোড়ন ফেলে দেয়।

আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঙ্গ করার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নরমে-গরমে বার্তা দেওয়া হলেও যেভাবে হাওড়া জেলার আরেক মন্ত্রী অরূপ রায় রীতিমত নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া বার্তা দিলেন, তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!