এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্য মন্ত্রীসভায় চরম গৃহযুদ্ধ, মমতা বিদেশ যেতেই একি কাণ্ড! হুলস্থুল নবান্নে!

রাজ্য মন্ত্রীসভায় চরম গৃহযুদ্ধ, মমতা বিদেশ যেতেই একি কাণ্ড! হুলস্থুল নবান্নে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মন্ত্রিসভার রদবদল করে 12 দিনের জন্য বিদেশ সফরে বেড়িয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি বিদেশে পা রাখতেই এ যেন হুলস্থুল কান্ড বেঁধে গেল রাজ্য মন্ত্রীসভায়। পর্যটন দপ্তরের নতুন দায়িত্ব পাওয়া ইন্দ্রনীল সেন নাম না করে খোঁচা দিয়ে বসলেন বাবুল সুপ্রিয়কে। যে বাবুল সুপ্রিয় পর্যটন দপ্তরের দায়িত্ব হারানোর পর বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীকে বলেই নাকি তিনি এই অপ্রচলিত এবং চিরাচরিত শক্তির দায়িত্ব নিয়েছেন। আর এবার সেই বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করে ইন্দ্রনীলবাবু বুঝিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতে যদি তার কোনো দপ্তর পছন্দ হয়, তাহলে বাবুল সুপ্রিয়কে দিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই প্রস্তাব পাঠাবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের দায়িত্ব বাবুল সুপ্রিয়র কাছ থেকে নিয়ে তা ইন্দ্রনীল সেনকে দেওয়া হয়েছে। বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরেই বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে ইন্দ্রনীল সেনের একটা দ্বৈরথ সামনে আসছিল। রদবদলের পর অপ্রচলিত চিরাচরিত শক্তির দায়িত্ব পেয়ে বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য টুইট করে জানিয়েছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি এই দপ্তর চাওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রী তাকে এই দপ্তর দিয়েছেন। যাতে তিনি অত্যন্ত খুশি। এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী তিনি পেয়েছেন, যার কাছে মন খুলে সব কথা বলা যায়। আর এবার সেই ব্যাপারেই পর্যটন দপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে খোঁচা দিলেন ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, “আমি তো জানি না, কারও ইচ্ছেমতো কাউকে কোনো মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া যায়। বাবুল সুপ্রিয় এ কথা বলেছে, হয়তো সে সত্যি কথাই বলেছে। আমারও ভবিষ্যতে যদি কোনো দপ্তর পছন্দ হয়, তাহলে বাবুলকে দিয়ে আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার প্রস্তাব দেব।”

একাংশের মতে, মন্ত্রিসভার মধ্যে কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবেমাত্র বিদেশে পা রেখেছেন। আর তার মধ্যেই দুই মন্ত্রীর এই বাক্য বিনিময় চাপে ফেলে দিল নবান্নকে। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, এই তো তৃণমূলের অবস্থা। আবার প্রমাণ হয়ে গেল, এখানে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। ভেতরে ভেতরে যে তৃণমূলের ভগ্নদশা, তা দুই মন্ত্রীর এই ঝগড়ার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে ইন্দ্রনীল সেনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার বিষয় নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই দূরত্ব ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। যার কারণে সেই বাবুল সুপ্রিয়র হাত থেকে পর্যটন দপ্তর নিয়ে তা ইন্দ্রনীল সেনের হাতে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও এই দুই মন্ত্রীর যুদ্ধ থামলো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বাইরেহ তখন তারা আবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি চরমভাবে বৃদ্ধি করলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে থাকার সময় এই যুদ্ধের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়, নাকি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে নবান্ন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!