এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য সরকারের অস্বস্তি তুঙ্গে তুলে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আজ হাইকোর্টের নির্দেশ, জমছে সমালোচনা

রাজ্য সরকারের অস্বস্তি তুঙ্গে তুলে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আজ হাইকোর্টের নির্দেশ, জমছে সমালোচনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কার্যত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একেরপর এক অভিযোগ জানিয়ে এসেছে রাজ্য গেরুয়া শিবির। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হিংসায় আক্রান্তদের যে কোন সাহায্য করা হয়নি, তাই নিয়েও বারংবার বলেছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা। অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ভোট-পরবর্তী হিংসা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বারংবার সরব হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি  দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়। পাশাপাশি রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আজকে তারা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয়া।

আর তারপরেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল রাজ্যকে একের পর এক প্রশ্ন করেন। একইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বেশকিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে আজ। তার মধ্যে অন্যতম হলো রাজ্যের কাছে থাকা সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব নিয়ে এইসব তথ্যগুলি সংরক্ষণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনকেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যতগুলি অভিযোগ এসেছে, তার প্রত্যেকটি নথিভূক্ত করার এবং স্টেটমেন্ট রেকর্ড করার নিরদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় যারা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নেওয়ার কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

একই সাথে যাদের রেশন কার্ড নেই, তাঁদেরকেও রেশন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, রাজ্যজুড়ে একাধিক ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে সাংসদ সৌগত রায় আজকে জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট একটি আইনানুগ প্রতিষ্ঠান। সেখানে যে কেউ নিজস্ব মতামত জানাতে পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি সৌগত রায় দাবি করেন, ভোট-পরবর্তী হিংসা 2 থেকে 5 হয়েছিল বটে, কিন্ত সেসময় রাজ্যের দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও দাবি করেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে কেউ আক্রান্ত হননি। অন্যদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাবি অন্য। তাঁদের কথা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, যাদবপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যখন যাওয়া হয়। তখন প্রতিনিধিকে তেড়ে আসে মারমুখী জনতা। আজকে কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।

সব মিলিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আজকে কলকাতা হাইকোর্ট ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে নির্দেশ দিল তা রাজ্য সরকারকে কার্যত চরম অস্বস্তি মুখে ঠেলে দিল। পাশাপাশি হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে হয়তো আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে শোকজ করা হতে পারে। সব মিলিয়ে আজকে হাইকোর্টের নির্দেশ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মনে করা হচ্ছে এতদিন ধরে রাজ্য বিজেপি যে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত তা কার্যত স্বীকৃতি পেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!