এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাজ্যের কোথাও আইন-শৃঙ্খলা নেই, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গেছে মুক্তাঞ্চল, ভোটের আগেই বোমা ফাটালেন দিলীপ

রাজ্যের কোথাও আইন-শৃঙ্খলা নেই, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গেছে মুক্তাঞ্চল, ভোটের আগেই বোমা ফাটালেন দিলীপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ৩০ সে সেপ্টেম্বর ভোট রয়েছে ভবানীপুরে। শেষ লগ্নে সেখানে ভোটের প্রচার চলছে কোমর বেঁধে। এই অবস্থায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক বোমা ফাটালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই, পশ্চিমবঙ্গ মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে, পুলিশ কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না।

সম্প্রতি হাঁসখালি এলাকায় তিনজন বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গে যারা সমাজ বিরোধী ছিল দীর্ঘদিন সিপিএম তাদের ব্যবহার করেছে। এখন তাঁরা তৃণমূলের নেতা হয়ে গেছেন। এরাই এখন পদাধিকারী। পঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। তাদেরকে টিকিট দেয়া হয়েছে। তারা টাকা,পয়সা খরচ করে, বন্দুক দেখিয়ে ভোটে জিতেছেন। বাকিদের ভোটের নমিনেশন জমা দিতে দেয়া হয়নি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সারা বাংলা জুড়ে রাজনীতির অপরাধীকরণ হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির নেতা কর্মীদের যেমন মারা হচ্ছে, তেমনি তৃণমূলের মধ্যেও চলছে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের বিরুদ্ধে দলের নেতাদেরই মারার অভিযোগ আসছে। তৃণমূলের লোক বলছেন যে, দলের নেতারাই মেরেছেন। দিলীপ জানালেন, এক সময়কার বিহারের মত অবস্থা হয়েছে এখন পশ্চিমবঙ্গের। রাজ্যের কোথাও আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই, পুলিশ কারো গায়ে হাত দেয় না। পুলিশ এফআইআর নেয় না। এই অবস্থা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার। কেউ সংঘর্ষে মারা যাচ্ছেন, কেউ মারা যাচ্ছেন সন্ত্রাসে। রাজনীতির যে পতন হয়েছে তা হয়েছে তৃণমূলের হাত ধরেই।

রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে দিলীপ ঘোষ জানালেন, রাজ্যতে পুলিশ রয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। বাংলাদেশ, নেপাল, বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে আসছে। পশ্চিমবঙ্গ একদম মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এখন বিহার, উত্তরপ্রদেশে কড়া সরকার থাকার জন্য সেখান থেকে অপরাধীরা পালিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিচ্ছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা যদি ঠিক না হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ আইন-শৃঙ্খলার দিক থেকে একেবারে হাতের বাইরে চলে যাবে। সামাজিক অপরাধ, পরস্পরকে গুলি করে সুট আউট করা, গ্যাং ক্লাশ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। যা কলকাতা থেকে সমস্ত জায়গায় শুরু হয়েছে।

বেআইনি অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কোনো বিশেষ ঘটনা ঘটলে, সিবিআই তদন্তের আদেশ দিলে তখন কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করতে পারে। আর সিবিআই তদন্তের জন্য যেতে হয় হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলে সরকারের খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ বাস্তব পরিস্থিতি মানুষের সামনে চলে আসছে। এই সরকার দিয়ে কাজ না হলে, অনেক রাস্তা হবে। সেগুলো ভাবা হবে। মানুষ সরকারকে ভোট দিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে, এই সরকারের দায়িত্ব হলো সামাজিক অপরাধ বন্ধ করা। সাধারণ মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করা।

অন্যদিকে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন যে, নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে সাহায্য করেছিল কংগ্রেস, বিজেপিকে হারাতে একাজ করেছিল। এখন কংগ্রেসের কোন বিধায়ক নেই। কংগ্রেসের কোন প্রতিনিধি নেই। বিদ্যাসাগরের জন্ম শতবার্ষিকী সরকারি ভাবে পালন করছে তৃণমূল, বাম বুদ্ধিজীবীরাও তা পালন করছে, কিন্তু কংগ্রেস কিছুই করেনি। তিনি জানালেন, বিজেপির পক্ষ থেকে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান পালন করা হবে।

আবার, সম্প্রতি ভবানীপুরে ভোটার তালিকায় ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নাম উঠেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের নেতা ছিলেন। এখানে নেতা হতে গেলে আগে ভোটার হতে হবে। তিনি মনে করছেন, সেই সময়ই তিনি ভোটার হয়েছিলেন, তবে জানা ছিল না, এবার তা জানা গেল। তবে এখন তিনি কোথায় আছেন? সেটা একটা প্রশ্নের বিষয়। এভাবেই ভবানীপুরের উপ নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইন শৃংখলা, পুলিশ ও নিরাপত্তার ইস্যুতে বড়সড় বোম ফাটালেন দিলীপ ঘোষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!