এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্য বঞ্চিত তার প্রাপ্য থেকে, আবার রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য বঞ্চিত তার প্রাপ্য থেকে, আবার রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিপূর্বে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বারবার বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আবার রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ এনে তীব্রভাবে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল রাজ্যে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। এই পরিস্থিতিতে গতকাল পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, অন্ধপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক চলে। এই বৈঠকে ঝড় মোকাবিলায় কোন রাজ্যকে, কত পরিমান অর্থ দান করা হবে? সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠক করে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি রাজ্যকে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্য তার প্রাপ্য টাকা পাক, তিনি সেটা চান। কিন্তু উড়িষ্যা, অন্ধপ্রদেশকে ৬০০ কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাকে দেয়া হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা। বাংলা এত বড় রাজ্য, তাহলে বাংলাকে কেন ৪০০ কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে? কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে বাংলার মানুষদের সঙ্গে? প্রশ্ন করেন তিনি। তিনি জানালেন, বাংলার জেলার সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি অধিক জনঘনত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আমফানের সময় বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, বুলবুলের সময়ও বঞ্চিত করা হয়েছে। উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশকে তাদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোন আক্ষেপ নেই। কিন্তু বাংলাকে কেন বারবার বঞ্চিত করা হবে? কেন বাংলার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে? বৈঠকে একাধিক প্রশ্ন করতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই সকল প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন যে, বৈজ্ঞানিকভাবে সমস্ত কিছু নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আর কিছু বলেননি। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ভালো বোঝেন, কিন্তু বিজ্ঞান কম বুঝে থাকেন।

অন্যদিকে, ঝড়ের পটভূমিতে আজ আবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, আজ-কাল দুদিন ধরে টানা নজরদারি চালানো হবে। মানুষকে সুরক্ষিত থাকতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে সেনা নামানো হবে। পূর্ণিমার ভরা কটালের কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৭৪ হাজার আধিকারিক, কর্মীকে দুর্যোগ মোকাবিলার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। দু’লক্ষ পুলিশকর্মীকেও এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

আজকের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, ৯ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২৪ ঘন্টা ধরে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি করা হবে। সমস্ত ব্লকে কন্ট্রোল রুম খুলে নজরদারির কাজ করা হচ্ছে। ঝড়ের ল্যান্ডফলের পর বোঝা যাবে, এই ঝড়ে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!