এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আদৌ কি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে নবান্ন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনীতি মহলে

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আদৌ কি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে নবান্ন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনীতি মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক সুমধূর নয়, সাংবিধানিক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ভোট পরবর্তী হিংসা, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল, বৈঠক করেছেন দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। আর এরপরেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রেজলিউশন পাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে, জানা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এসব করে আদৌ কি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে রাজ্য সরকার?

রাজ্যপালের অপসারণের জন্য বেশ কয়েকবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্য বিধানসভার কাজে অন্যায় ভাবে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। অবিলম্বে রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, রাজ্যের কি আদৌ ক্ষমতা আছে রাজ্যপালের অপসারণের? এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, গত ২০১০ সালে পুঞ্চি কমিশন জানিয়েছিল যে, রাজ্য আইনসভার প্রস্তাবে রাজ্যপালকে অপসারণ করা উচিত, কিন্তু কমিশনের এই প্রস্তাব অনুমোদন করেনি সংসদ। তাই এর দ্বারা রাজ্যপালকে অপসারণ করা অসম্ভব।

প্রসঙ্গত, রাজ্যপালকে কখনোই অপারেশন করতে পারেনা রাজ্য। কারণ, রাজ্যপালকে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। একমাত্র তিনি যদি চান, তবে মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে রাজ্যপালকে অপসারণ করতে পারেন তিনি। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এক্ষেত্রে যদি কেন্দ্রীয় সরকার সহমত হয়, তবে রাজ্যপালের মেয়াদ শেষের পূর্বে অপসারণ সম্ভব। রাজ্যপালের অপসারণ রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে থাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সংবিধানের ১৫৫, ১৫৬ নম্বর ধারায় রাজ্যপালের মেয়াদ রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির ওপর নির্ভরতার কথা বলা হয়েছে। আবার সংবিধানের ৭৪ নম্বর ধারায় জানানো হয়েছে যে, রাজ্যপালকে নিয়োগ করার সময়ে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতির দ্বারা তাদের মনোনীত কোন ব্যক্তিকে কোন রাজ্যের রাজ্যপাল করতে পারে। রাজ্যপালকে অপসারণ করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছার ওপরে নির্ভর করতে হবে। রাজ্য সরকারের ইচ্ছায় তা সম্ভব নয়।

আবার, রাজ্যপালের অপসারণ নিয়ে চলা মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ২০০৪ সালে জানানো হয়েছিল যে, অযৌক্তিকভাবে কখনোই রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে অপসারণ করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন না। বৈধ ও বাধ্যতামূলক কারনের সঙ্গে সঙ্গে বিরল ও ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে অপসারণের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন রাষ্ট্রপতি।

আবার ২০০২ সালে ভেঙ্কটচালিয়া কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে পাঁচ বছরের মেয়াদে রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল। যেখানে জানানো হয়েছিল যে, কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত হয়ে রাজ্যপালকে অপসারণ করা যাবে। অর্থাৎ, সমস্ত দিক থেকে বিচার করে বলা যায় যে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের অপসারণ রাজ্য সরকার বারবার চাইলেও, কেন্দ্রীয় সরকার যতক্ষণ না তাতে সম্মত হবে, ততক্ষণ রাজ্যপালের অপসারণ অসম্ভব। আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে অপসারণ করা হবে, এমন কোনো খবর এখনো সামনে আসেনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!