এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাম মন্দির গঠনের দাবি নিয়ে অনশনে অযোধ্যার হিন্দু পুরোহিতদের একাংশ

রাম মন্দির গঠনের দাবি নিয়ে অনশনে অযোধ্যার হিন্দু পুরোহিতদের একাংশ


অযোধ্যার রামমন্দির বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এই বিতর্ককে ঢাল বানিয়েই ‘জয় শ্রীরাম’ আবেগকে কাজে লাগিয়ে ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু করবেন। কিন্তু সে কথা আজও পূরণ করতে পারলেন না মোদীজি। না কোনো উদ্যোগ দেখিয়েছেন পুনরায় রাম মন্দির গঠনের। এর মাঝে গড়িয়ে গিয়েছে ৪ টি বছর। আরেকটা লোকসভা নির্বাচনও চলে এল। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে অযোধ্যার হিন্দু পুরোহিতদের। এবার তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন অবিলম্বে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করা না হলে তাঁদের একটা ভোটও বিজেপির তরফে যাবে না।

পাশাপাশি বিজেপি যাতে কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য যাবতীয় চেষ্টা করা হবে। রামমন্দির গঠনের দাবী তুলে অনশনে শুরু করলেন অযোধ্যার হিন্দুু পুরোহিতদের একাংশ। এবং যতদিন বিজেপি এই ইস্যুতে তৎপর না হবে ততোদিন অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অনশন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। রামমন্দির গঠনের দাবী জোরালো করতেই অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। এমনটাই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে জানালেন মহন্ত পরমহংস। সঙ্গে এটাও জানান, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথাও বলবেন তাঁরা। এ নিয়ে কোনোরকম অশান্তি করার ইচ্ছে নেই তাঁদের। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়েই রামমন্দিন গঠনের স্বপ্ন পূরণ করার সংকল্প নিয়েছেন তাঁরা। তপস্বী চাভনি মন্দিরে এই অনশন চলছে শিব পুজোর পাশাপাশিই।

উল্লেখ্য,উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একসময় বলেছিলেন ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগেই অযোধ্যার রামমন্দির তৈরি করা হবে। সন্ত সম্মেলনে যোগদান করে মুখ্যমন্ত্রী রামমন্দির তৈরি করার দিনও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সে ঘোষণার বহুদিন পেরিয়ে গেলেও রামমন্দির গঠনের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বিজেপি সরকারকে। অপেক্ষায় দিন গুনেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। এরপর দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি বলেছেন,২০১৯ সালে বিজেপির প্রধান ইস্যু হিন্দুত্ব বা রামমন্দির তৈরি করা নয়। বিজেপির এরকম দ্বিচারী আচরণ দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। জল মাথার উপর থেকে চলে যাচ্ছে দেখে আর চুপ করে বসে থাকতে নারাজ তাঁরা। এমনকি চাওয়ানি মন্দিরের প্রধান মহন্ত পরমহংস দাস বিজেপি সরকারকে হুঁসিয়ারী দিয়ে বলেন,বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করেছে শুধুমাত্র কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার জন্য। তাঁরা যদি ১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দির গঠন করতে উদ্যোগী হয় তাহলে ভালো। নাহলে এর পর বৃহত্তর আন্দোলনে পথে নামবে দেশ জুড়ে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। আর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার সবরকম চেষ্টাও করবে তাঁরা।

তবে রামমন্দির নিয়ে এখনই এতো অধৈর্য হয়ে না পড়ার বার্তা দিয়েছে বিজেপি সরকার। আরেকটু সবুর করার অনুরোধ করা হয়েছে তাঁদের। বাবরি মসজিদ মামলা এখবো সুপ্রিম কোর্টের আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে। প্রায় ১০ টি আবেদনের শুনানি করছে শীর্ষ আদালত। এই ফয়সলার সঙ্গেই রামের জন্মভূমিতে রামমন্দির গঠন নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই আশায় বুক বাঁধছে সাধুসন্তরা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ওদিকে বিজেপি সরকারের সমালোচনায় অযোধ্যার পুরোহিতরা মুখর হওয়ায় জাতীয় বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছেন,শীর্ঘ্রই গনতান্ত্রিক পথেই রামমন্দির গঠনের কাজ শুরু হবে। তবে বিজেপির এই আশ্বাস যদি আগামীদিনের বৃহত্তর আন্দোলন ঠেকাতে নিছক কথার কথা হয়,তাহলে বিজেপি সরকারকে এর মাশুল দিতে হবে। এমনিতেই বিরোধীরা সুযোগ খুঁজছে কেবল যে কোনো ইস্যুকে হাতিয়ার বানিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে আক্রমণ করার। রামমন্দির নিয়ে বিতর্ক যদি আরো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো যদি আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তাহলে তা বিজেপির ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!