এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের লাগাম আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই – ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

তৃণমূলের লাগাম আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই – ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল তৃণমূলে ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সংখ্যা। দলের বিরুদ্ধে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে দলত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন। এদিকে কোচবিহার জেলায় নতুন কমিটি গঠনের পর দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দলের বিরুদ্ধে বারবার তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন। আবার দলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

আজ মঙ্গলবার দলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। যেখানে তিনি লিখেছেন যে, তৃণমূল দলটি এখন আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই। এই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন যে, তৃণমূল দল এখন আর মুখ্যমন্ত্রী (আমার দিদির) দল নয়। দিদি এখানে নিস্পন্দ। একারণেই দিদির লোকেরা দলে অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন। সমস্ত কিছু মেনে নিয়ে যো হুজুর করে টিকে থাকতে পারলে, তবেই দলে থাকা যাচ্ছে। না হলে দল থেকে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে।

বিধায়ক তাঁর এই ফেসবুক পোস্টে আরো লিখেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর কারণেই তিনি অনেক অপমান সহ্য করেও এতোদিন ধরে টিকে ছিলেন দলে। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল দল এখন আর তাঁর নেত্রী মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নেই। তাই এই দলটা আর তাঁর দল হতে পারেনা। শ্যামা মায়ের আরাধনা কালে দলের প্রতি তাঁর এই অনুমান আরো সুদৃঢ় হয়েছে। এ কারণেই দলের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়াটা তিনি স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে তিনি আরো অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল দলের অভিধান থেকে সম্মান শব্দটাই একেবারে উধাও হয়ে গেছে। তবে বিধায়ক তাঁর এই ফেসবুক পোস্টে কার কাছে যো হুজুর করে থাকার কথা বলেছেন তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে অনেকেই বলছেন যে, এখানে কাকে তিনি ইঙ্গিত করতে চাইছেন, তা বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের নতুন সাংগঠনিক রদবদলের পর সংগঠনের সমস্ত রকম পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মিহির গোস্বামী। গত সপ্তাহে তিনি জানালেন যে, তিনি তৃণমূলে আর ফিরছেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর এই ঘোষণার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কোন ফোন করেন নি।

এই পোষ্টটিতে তিনি লিখেছেন যে, দলের সংগঠন থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণার পর ছয় সপ্তাহ কেটে গেছে। এই দিনে তিনি সমস্ত দলের কাছ থেকে এক বা একাধিক ফোন পেয়েছেন। এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন অনেকে। তাঁর বহু পুরনো রাজনৈতিক বন্ধু তাঁকে ফোন করেছিলেন। রাজ্যের বাইরে থেকেও অনেকে ফোন করেছেন তাঁকে। কেউ তাঁকে অফার দিয়েছেন, কেউ তাকে পরামর্শ দিয়েছেন, কেউ শুধু ভালোবাসা দিয়েছেন। তাঁর বহু সহকর্মী পশ্চিমবঙ্গের নানা স্থান থেকে তাঁকে ফোন করেছেন। কলকাতা থেকেও তাঁর অনেক ফোন এসেছে। তবে সবার ফোন ধরা সম্ভব হয়ে ওঠেনি তাঁর পক্ষে। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেছেন যে, গত ছয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি ফোনও আসেনি। তাঁকে বরখাস্ত বা বহিস্কার করার কোনো নির্দেশও আসেনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে।

এদিকে তৃণমূল দল মানেই মমতাময়। লোকসভা হোক বা বিধানসভা নির্বাচন হোক, দলের মূল প্রার্থী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সম্প্রতি শাসক দল তৃণমূলে যেভাবে গোষ্ঠী কোন্দল দেখা দিয়েছে, দলের বিধায়কেরা যেভাবে বিক্ষোভ করছেন, সে ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন যে, দলের নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ নেতৃত্বের হাত থেকে চলে গেছে। যার ফলে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদল তৃণমূলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!