এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, শুভেন্দুর দিকে তাকিয়ে বাংলার তামাম জনতা, প্রমাদ গুনছে তৃণমূলও!

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, শুভেন্দুর দিকে তাকিয়ে বাংলার তামাম জনতা, প্রমাদ গুনছে তৃণমূলও!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই রামনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, 19 নভেম্বর সেই রামনগরে সমবায় সপ্তাহ পালন করতে এসে তিনি অনেক কথা বলবেন। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। মনে করা হচ্ছে, তিনি দ্রুত দলবদল করার মত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যাপারে কোনো বক্তব্য রাখেননি।

কিন্তু কিছুদিন আগেই রামনগরে একটি কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী 19 শে নভেম্বর রামনগরের মাটি থেকে দাঁড়িয়েই তিনি অনেক কিছু বলতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই এখন 19 নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের দিকে নজর রয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলের। কি বলবেন শুভেন্দু অধিকারী! পৃথক দল গঠনের কথা বলবেন! নাকি অন্য দলে যাওয়ার কথা বলবেন? নাকি যে দলে আছেন, সেই দলেই থাকবেন! এখন এই সমস্ত প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনীতি প্রিয় জনসাধারণের মধ্যে।

বস্তুত, তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের যদি সব থেকে বেশি কারও গ্রহণযোগ্যতা থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে প্রায় রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই তার অনুগামী থেকে শুরু করে অনুগত অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী যখন থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন অরাজনৈতিক সভায় উপস্থিত হচ্ছেন, প্রায় তখন থেকেই শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই “দাদার অনুগামী” বলে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে পোস্টার পড়তে দেখা যাচ্ছে। যাকে কেন্দ্র করে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কেন “দাদার অনুগামী” বলে বিভিন্ন জেলাতে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার যুক্ত ছবি লাগানো হচ্ছে এবং সেখানে কেন নেই তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো চিহ্ন! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর নেতা অখিল গিরি এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। যার ফলে দলের সঙ্গে শুভেন্দুবাবুর দূরত্ব আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। আর এমত পরিস্থিতিতে সেই অখিলবাবুর খাসতালুক রামনগরে গিয়ে কালীপুজোর উদ্বোধন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী 19 শে নভেম্বর তিনি এই ব্যাপারে অনেক কথা বলবেন। স্বাভাবিকভাবেই এখন সেই দিনের অপেক্ষা করছে গোটা রাজনৈতিক মহল।

একাংশ বলছেন, পুরাতন তৃনমূলের একটা বড় অংশ এখন শুভেন্দু অধিকারীর পাশে রয়েছেন। ফলে শুভেন্দুবাবু যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তারাও দল ছাড়তে পারেন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী যদি পৃথক দল গঠন করেন, তাহলে তারাও সেখানে সামিল হতে পারেন। অনেকে আবার বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী অন্য কোনো দলে যাবেন না। যদি তিনি দলত্যাগ করেন, তাহলে পৃথক দল গঠন করতে পারেন। আর শুভেন্দু অধিকারী যদি পৃথক দল গঠন করেন, তাহলে তার সাথে শাসকদলের অনেক জনপ্রতিনিধিকে সেখানে সামিল হতে দেখা যেতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই 19 নভেম্বরের ওপরেই এই সমস্ত রাজনৈতিক সমীকরণ নির্ভর করছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। একাংশের ধারণা, শুভেন্দু অধিকারী এই সভা থেকে কিছুটা হলেও তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তার ভবিষ্যত রাজনৈতিক পন্থার আভাস পাওয়া যাবে। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে এখন 19 নভেম্বর সময়টা বড় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষত সামনেই যখন বাংলার বিধানসভা নির্বাচন, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের এহেন হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা তথা মন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ জল্পনার মুখে। তাই আগামী 19 নভেম্বর তিনি এই ব্যাপারে কি বলেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কি সমীকরণ তৈরি হয় বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!