এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাম মন্দির নিয়ে নয়া উদ্যোগ! খাবি খাবেন মমতা, বড় দাবি বিজেপির!

রাম মন্দির নিয়ে নয়া উদ্যোগ! খাবি খাবেন মমতা, বড় দাবি বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন বিজেপি বিরোধী অনেক রাজনৈতিক নেতারা অভিযোগ করতেন যে, বিজেপি একটাও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে না। কিন্তু একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, নরেন্দ্র মোদীর সরকার প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, তারা কথা দিয়ে কথা রাখতে জানে। তিন তালাক বিলোপ থেকে শুরু করে কাশ্মীরের ব্যাপারে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বিজেপিকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। আর এবার দীর্ঘদিন ধরে করা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ হতে চলেছে। যেখানে অযোধ্যায় নতুন বছরেই উদ্বোধন হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের, আর তা নিয়ে এমনিতেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো চোখের সর্ষেফুল দেখছে। কারণ অযোধ্যায় রাম মন্দির হয়ে গেলে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে আটকানো খুব চাপের হয়ে যাবে। তবে বাংলাতেও এই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে নিজেদের রাজনৈতিক প্রচার পেতে পথে নামতে শুরু করছে গেরুয়া শিবির। তারা এই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এবং মানুষের কাছে পৌঁছতে চলেছে। যার ফলে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস খাবি খেতে পারে। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু কি এমন উদ্যোগ নিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি?

সূত্রের খবর, আগামী 24 তারিখ রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। তার আগেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন সেখানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বহু প্রতীক্ষিত এই রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন গোটা ভারতবর্ষের পাশাপাশি বাংলার মানুষকে শরিক করতে চাইছে। বাংলার রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণকে একত্রিত করে এই রাম মন্দির উদ্বোধনের মুহূর্তকে ধরে রাখতে বিজেপির এই অভিনব কৌশল। যার ফলে আগামী দিনে হিন্দু ভোট ব্যাংক এক জায়গায় যেমন আসবে, ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষন করতে গিয়ে আরও বিপাকের মুখে পড়বে বলেই মনে করছেন একাংশ। শুধু তাই নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাম মন্দির উদ্বোধনের মুহূর্তকে ধরে রেখে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে বিজেপি জনসংযোগের অস্ত্রেও শান দেবে।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূল এবং বিরোধী দলগুলোকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, দেশে রাম মন্দির হচ্ছেই। বিজেপি তার কথা রেখেছে। দেশের হিন্দুরা একত্রিত হয়ে রয়েছে। আগামী দিনে বিরোধীরা সাম্প্রদায়িক বিষ ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও, তাতে দেশের মানুষ সারা দেবে না। বাংলাতেও আগামী দিনে রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণ নতুন পথের সন্ধান দেবে। ঘরে ঘরে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে হিন্দু জাগরণ করে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন যাতে বাংলার মানুষকেও শামিল করা যায়, তার চেষ্টা করা হবে। আর এসব দেখেই খাবি খেতে শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের কেষ্ঠ বিষ্টুরা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে রয়েছে শুধুমাত্র পরিবারবাদ, দুর্নীতি এবং তোষনের জন্য। তাই কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক প্রতিশ্রুতি পূরণ করার ফলে তৈরি হওয়া ইন্ডি জোট এখন দিকভ্রষ্ট। সেই জোটের নেত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু তার স্বপ্নও এখন ধ্বংসের মুখে। রাম মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ। তাই বাংলাতেও তার প্রভাব ফেলতে বিজেপি যে স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেছে, তা যথেষ্ট চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূল নেত্রীর কাছে। একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করার যে রাজনীতি তিনি এতদিন ধরে করে এসেছেন, বাংলায় বিজেপির এই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়াটা সেই বিষয়কেও রীতিমত প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!