এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির সঙ্গে নো সেটিং, মমতার সঙ্গে সমঝোতা করেছে বাম-কংগ্রেস? ভয়াবহ ইঙ্গিত শুভেন্দুর!

বিজেপির সঙ্গে নো সেটিং, মমতার সঙ্গে সমঝোতা করেছে বাম-কংগ্রেস? ভয়াবহ ইঙ্গিত শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন রাজ্যের বাম এবং কংগ্রেসের নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি সেটিং রয়েছে বলে অনেক বড় বড় কথা বলতেন। কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসল লড়াইটা যে বিজেপিই লড়ছে, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বাম, বিজেপির অনেক নেতার কথায় এতদিন রাজ্যের মানুষ কিছুটা হলেও বিশ্বাস করেছিলেন। অনেকেই ভাবছিলেন যে, শুধু তদন্ত হচ্ছে, কিন্তু মাথারা ধরা পড়ছে কোথায়? তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর এবং মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সেই সেটিংয়ের অভিযোগ আর ঢোপে টিকছে না বললেই চলে। উল্টে সংসদে কংগ্রেস এবং বামেদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের পাশে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও এখন একটা প্রশ্ন উঠছে যে, আসল সেটিংটা তো তাহলে করছে বাম এবং কংগ্রেস! রাজ্যের মানুষকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বস্তি দিতে যে লড়াই বিজেপি লড়ছে, তাকে ভেস্তে দেওয়ার জন্যই বাম এবং কংগ্রেস তৃণমূল-বিজেপি সেটিং বলে মিথ্যে প্রচার করছে। আর এসবের মাঝেই আজ শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বাম এবং কংগ্রেসের এই নাটুকেপনা রাজনীতি এবং ভাওতাবাজির মুখোশটা খুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন সংসদে যখন মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়, তখন তার পাশেই দাঁড়াতে দেখা যায় বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। যে অধীর চৌধুরী প্রতি সময় বলেন যে, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং রয়েছে বলে তৃণমূলের অনেক মাথাকে ধরা হচ্ছে না। সেই অধীর চৌধুরী এদিন সংসদে মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়ে গলা ফাটান। আর সেই বিষয়টি নিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের মুখোশ খুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বাম এবং কংগ্রেস নেতারা এতদিন রাজ্যের মানুষকে সেটিং সেটিং বলে গিয়েছেন। কিন্তু আজকের ঘটনায় পরিষ্কার যে,, বিজেপির সঙ্গে নো সেটিং। তৃণমূলের সঙ্গেই সেটিং রয়েছে বাম এবং কংগ্রেসের।” অনেকে বলছেন, অধীর চৌধুরী এখন বলতেই পারেন যে, বিজেপি বিরোধী জোট রাজনীতির স্বার্থেই তারা এই কাজ করেছেন। কিন্তু বাংলায় এক নীতি, আর দিল্লিতে আর এক নীতি নিয়ে কি করে এত নিম্ন রুচির রাজনীতি করছে বাম এবং কংগ্রেস? যদি সত্যিই তারা তৃণমূল বিরোধী রাজনীতি করত, তাহলে এতদিন বাংলায় বাম এবং কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতাও ছিলেন। কিন্তু তারা আর যাই হোক, শুভেন্দু অধিকারীর মত এই সরকারের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেননি। তাই প্রকৃত বিরোধিতা করে, আন্দোলন করে যদি এই সরকারকে চাপে ফেলতে হয়, তাহলে একমাত্র সেই পথ দেখাচ্ছে বিজেপি বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে বাম এবং কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, দুই জায়গায় দুই ধরনের নীতি প্রয়োগ করছেন বাম এবং কংগ্রেস নেতারা। আর এই করতে গিয়ে তারা আবার শূন্যের মুখে পড়ে যাবেন। রাজ্যের মানুষের কাছে তাদের আর কোনো মূল্য নেই। আগামী দিনে লোকসভা ভোটেও তৃণমূলকে তলায় তলায় সুবিধে করে দেওয়া বাম এবং কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে তৃনমূল ধ্বংস করছে। তাই তাদের সহযোগিতা করলে দেশের মানুষ সেই দলকে সমর্থন করবেন না। ফলে অদূর ভবিষ্যতে নিজেদের দলের করুন পরিণতি দেখার জন্য অপেক্ষা করুন বাম এবং কংগ্রেস নেতারা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যের মাটিতে এতদিন সেটিং সেটিং বলে বিজেপি যাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঠিকঠাক লড়তে না পারে, তার চেষ্টা করেছিলেন বাম এবং কংগ্রেস নেতারা। এটা আজকে সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা না হলে যারা সেটিংয়ের কথা বলত, তারা দিল্লিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের হয়ে গলা ফাটাতে পারত না। আসলে রাজ্য থেকে তৃণমূল বিদায় নিক, এটা চাইছে না বাম এবং কংগ্রেস। তাই তারা বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল বিরোধী আন্দোলনে রাশ টানতে সেটিংয়ের গল্প দিয়ে রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে। কিন্তু তাদের এই ভাওতাবাজির মুখোশ সামনে চলে এসেছে। তৃণমূলকে সরাতে পারে যে একমাত্র বিজেপি এবং বিজেপি যে সেটিংয়ের রাজনীতি না করে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে, তা বাম-কংগ্রেসের এই দ্বৈত নীতির মধ্যে দিয়ে আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!