এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দ্যাখ কেমন লাগে! মহুয়া ঝড়ে পড়তেই বিরাট প্রবাদ প্রবচন শুভেন্দুর!

দ্যাখ কেমন লাগে! মহুয়া ঝড়ে পড়তেই বিরাট প্রবাদ প্রবচন শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মা কালীকে অপমান করার ফল পেতে হলো বলে পোস্ট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার কিছু সময় পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলার প্রবাদ প্রবচনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সংসদে অনেক বড় বড় কথা বলতেন এই মহুয়া মৈত্র। এমনকি হিন্দুদের সনাতনী ধর্মের দেবী মা কালিকে অপমান করতেও তিনি পিছপা হননি। তবে শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল, তার বিরুদ্ধে এত বড় ঘটনা ঘটার। কারণ ভগবানকে অপমান করে কেউ ঠিক থাকতে পারেন না। তাই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ার পর আজ ধ্বনি ভোটে সেই সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মহুয়া মৈত্র এবং তার দলের নেত্রী অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যাপারে যা বললেন, তা তৃণমূলের মধ্যে অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল।

প্রসঙ্গত, আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই মহুয়া মৈত্রের এই সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি প্রথমেই বলে ওঠেন, “জয় মা কালী। হিন্দু দেবীর শক্তি কি, তা আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বাংলা ভাষায় একটি কথা আছে, অতি বাড় বেড়ো না, ঝড়ে ভেঙে যাবে।” অনেকে বলছেন, হিন্দু দেব দেবীকে খুব হালকা ভাবেই নিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা নেত্রীদের। কারণ তারা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে অভ্যস্ত। তারা ভাবে, হিন্দুদের সঙ্গে যা খুশি তাই করা যাবে। তবে এর ফল হাতেনাতে পেতে হলো তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে। সবটাই যে তাদের মগের মুলুক নয়, তা এদিন দেশের সংসদ হারে হারে বুঝিয়ে দিল আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, দ্যাখ কেমন লাগে! লজ্জা এবং ভয় কোনোটাই নেই তৃণমূলের। তবে ধর্মের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই হাতেনাতে শিক্ষা পেয়ে গেলেন মহুয়া মৈত্র। হিন্দু দেবীকে অপমান করার ফল কি হতে পারে, এই ঘটনা থেকে তার শিক্ষা নিয়ে নিক তৃনমূল কংগ্রেস। হিন্দু ধর্ম সহনশীল বলে সব কিছু সহ্য করে। কিন্তু অন্য ধর্মের সঙ্গে এটা করার মত ক্ষমতা তো তৃণমূলের নেই। তবে হিন্দু ধর্ম শক্তিশালী এবং এর মাহাত্ম্য গভীর। তাই পাপের ফল ভোগ করতে হলো মহুয়া মৈত্রকে বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মা কালীকে নিয়ে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের পর থেকেই রাস্তায় নেমেছিল বিরোধী দল। সনাতনী ধর্মাবলম্বী মানুষরা গোটা ঘটনায় এই তৃণমূল সাংসদের শাস্তির দাবি করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেই এর শাস্তি পেয়ে গেলেন। অদৃষ্টের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! মা কালীর ক্ষোভে সমস্ত ক্ষমতা হারিয়ে ফেললেন এই তৃণমূল সাংসদ। আসলে সত্যিই, ঔদ্ধত্য পতন ডেকে আনতে বেশিদিন সময় নেয় না। মহুয়া মৈত্রের ক্ষেত্রেও এমনটাই হল। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!