রামমন্দির ইস্যুতে মমতার চুপ থাকা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার কলকাতা জাতীয় রাজ্য November 14, 2019 রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে বহু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও অযোধ্যা মামলার মতন সংবেদনশীল ব্যাপারে রাজ্য সরকার নিশ্চুপ থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যদিও দেশের কোনো রাজনৈতিক দলই অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে কোনো বিতর্কিত মন্তব্যের দিকে যাননি। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই, অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখা চলবে না। যা বলার তিনি নিজে বলবেন। যদিও তিনি এখনো পর্যন্ত অযোধ্যা মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। আর এই প্রসঙ্গেই এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করা শুরু করেছেন। গত শনিবার সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে অযোধ্যা মামলার রায় বেরিয়েছে। রায় বেরোনোর পর কিছুদিন কাটলেও এখনো পর্যন্ত এই রায় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই রাম মন্দির সংক্রান্ত সবরকম মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস মন্তব্য না করায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল দল অযোধ্যা রাম মন্দির রায় নিয়ে আশ্চর্য রকম ভাবে নিশ্চুপ হয়ে গেছে। যা রীতিমত অবাক করছে। শুধু তাই নয়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় তার টুইটের মাধ্যমে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন এই ব্যাপারে। যার মধ্যে রাম মন্দির নিয়ে মন খুলে কথা বলার আবেদন করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বলাই বাহুল্য রাম মন্দিরের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনরকম টুইট না আসায় প্রত্যেকেরই চোখে লেগেছে। তবে অযোধ্যা নিয়ে বিতর্ক এড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই তার দলের নেতা মন্ত্রীদের সতর্ক করেছিলেন। সূত্রের খবর, ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে আসা সাইক্লোন বুলবুল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। যদিও বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর নিশ্চুপতাকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন। এমনকি বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভোটব্যাঙ্ক সামলানোর জন্যই তৃণমূল সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে অযোধ্যার রায় ঘোষণার পর থেকেই নবান্নের তরফেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তৎপরতা দেখা দিয়েছিল। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোনোর পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য। অন্যদিকে, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে অযোধ্যা মামলা প্রসঙ্গে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, অযোধ্যা মামলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চুপ করে থেকে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -