তৃণমূল বিধায়কই তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করছেন! বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে থানায় প্রভাবশালী তৃনমূল নেতা তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজনীতি রাজ্য September 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার এককালে বিধায়কের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি অভিযোগ তুললেন, সেই তৃনমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে খুনের হুমকি দেওয়ার। যার ফলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে নদীয়া জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। জানা গেছে, একসময় শাসকদলের ছাত্রনেতা মনোজ সরকার শান্তিপুর থানায় তৃনমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে খুনের প্ররোচনা ও উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। আর একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে দলেরই একজন ছাত্রনেতা এইরকম খুনের অভিযোগ করায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় শান্তিপুর কলেজের স্টাফরুমে এক শিক্ষকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনোজ সরকার। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিজেপির একজনকে খুন এবং একজনকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তার পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এখন আবার তিনি সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, কিছুদিন আগেই মনোজ সরকারের এক আত্মীয় এবং তার ঘনিষ্ঠ গোবিন্দ দাস নামে এক ব্যাক্তি গুলিতে খুন হন। আর এই ঘটনাতেই বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য সহ বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে বলে খবর। এবার সেই মনোজ সরকার দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধেই সরব হতে শুরু করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি বলেন, “আমি এর প্রতিবাদ করাতেই ষড়যন্ত্র করে আমায় খুনের হুমকি দেওয়াচ্ছেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। বিধায়কের প্ররোচনায় তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন দলগতভাবে আমার বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। খুনের হুমকি দিচ্ছে।” শুধু তাই নয়, বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য তার ভাইকে খুনের ষড়যন্ত্র করার পাশাপাশি বিজেপির একজনকে ধর্ষণ এবং একজনকে খুনের অভিযোগে তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন সেই মনোজ সরকার। অনেকে বলছেন, এই মনোজ সরকারের বাবা 5 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মাধব সরকার বর্তমানে অসুস্থ। তাই তার বদলে মনোজবাবু নিজেই এই ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চাইছেন। এমনকি তিনি যদি জয়লাভ করেন, তাহলে পৌর প্রধান হওয়ার ব্যাপারেও তিনি তার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে খবর। তাই এই পরিস্থিতিতে মনোজ সরকার যাতে খুব বেশিদূর যেতে না পারে, তার জন্য তাকে এখন চাপে ফেলতে অরিন্দম ভট্টাচার্য চেষ্টা করছেন বলে দাবী তৃণমূলের একাংশের। আর দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে দলের আরেক প্রভাবশালী নেতা এইভাবে খুনের অভিযোগ তোলায় এখন রীতিমত অস্বস্তিতে অরিন্দমবাবু। এদিন এই প্রসঙ্গে অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত শান্তিপুর পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান অজয় দে বলেন, “শহরের মানুষ আর খুনোখুনি দেখতে চাইছেন না। তারা শান্তি ফিরে পেতে চান। পুলিশের উচিত অভিযোগ সত্যি না মিথ্যা, তা খতিয়ে দেখে সেই মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এই ঘটনায় যেভাবে বিধায়কের দিকে অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস কতটা চাপে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -