বিজেপির পাল্টা সভা করে শাসকদল দেখিয়ে দিল জনসমর্থন অটুট বিশেষ খবর রাজ্য December 30, 2017 মাত্র চার দিন আগেই বড়দিনের দিন মুকুল রায়ের নেতৃত্ত্বে পুরুলিয়ার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে জনসভা করে বিজেপি। সেদিনের সভায় মুকুল বাবুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতৃত্ত্বের হেভিওয়েটরা, ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়েরা। সে দিন ভিড় দেখে জেলায় এত বড় সভা তাঁদের আগে হয়নি বলে দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। আর সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই কার্যত শীর্ষ স্তরের কোনো নেতা না এনেই সেই একই জায়গায় রাজ্যের শাসকদল গতকাল ধিক্কার সভা ডেকে নিজেদের সঙ্গে কত জনসমর্থন এখনো অটুট দেখিয়ে দিল। জনসভায় ভিড়ের নিরিখে তাঁরাই এগিয়ে বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গতকালের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমন করেন দলের জেলা সভাপতি তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। তিনি বলেন, বিজেপি ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে সভা ভরিয়েছিল। বিজেপি এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কুত্সা করে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কুড়মিদের দাবি নিয়ে সহানুভূতিশীল। তিনি কুড়মি উন্নয়ন বোর্ড তৈরি করেছেন, মানভূম কালচারাল অ্যাকাডেমি গড়েছেন। বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডে কি তা হয়েছে? পর্যটনে পুরুলিয়া এখন বাংলার প্রথম সারিতে। শান্তি ফেরানোর পরে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়েছে বলেই পর্যটকেরা আসছেন। অন্যদিকে রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভূঁইয়া কর্মী-সমর্থকদের কাছে জানতে চান- এক দিকে মুকল রায়-দিলীপ ঘোষ, অন্য দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকে তাঁরা বাছবেন? উপস্থিত জনতা হাত নাড়তেই তিনি বলেন, আগামী দিনে এটাই হবে সারা বাংলার রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সবাই চাইবেন। আমরা মন্দির-মসজিদ, রাম-রহিমকে নিয়ে এক সাথে চলতে চাই। সভায় উপস্থিত অন্য দুই বক্তা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বিধায়ক পার্থ ভৌমিকও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি ও মুকুল রায়কে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী শাসকদলের এই সভা প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, আমাদের ভিড় দেখে তৃণমূল নেতারা চোখে অন্ধকার দেখছেন। তাই ভাবছেন, সভাস্থল ভরিয়ে ফেলেছেন। পঞ্চায়েত ভোটেই ওদের দৃষ্টি ফিরবে। আপনার মতামত জানান -