ভবানীপুর জয়ের মধ্য দিয়েই কি দেশজয়ের পরিকল্পনা? মুখ্যমন্ত্রীর তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যে উঠল ঝড় কংগ্রেস তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 27, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বিধানসভা নির্বাচনে বড়সর জয় পেয়েছে তৃণমূল, তবে নন্দিগ্রামে পরাস্ত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ছ’ মাসের মধ্যে জিতে আসতেই হবে তাঁকে। আর ভবানীপুর থেকে লড়াই করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই ভবানীপুরে তাঁর লড়াই অবশ্যই প্রেস্টিজ ফাইট। আর ভবানীপুরে দখলের মধ্যে দিয়েই দেশ দখলের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। ভবানীপুর জয়ের মধ্য দিয়েই দেশ জয়ের মহড়া নিতে চলেছে তৃণমূল। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ভবানীপুরের যে খেলা হবে, সেই খেলা ভারত জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভায় একটা খেলা হয়ে গেছে, বাংলার খেলা হয়ে গেছে, এই খেলাটা শেষ হবে ভারতে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছে সিপিএম। এ কারণেই কংগ্রেসের সঙ্গ তিনি ছেড়েছেন। এখন কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া আছে। জগাই, মাধাই, গদাই, নির্বাচনে অনেক কান্ড করবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আবার সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, কেরালা, অসমে তৃণমূল পা রেখেছে। এমন কোন রাজ্য নেই, যেখানে মানুষ তৃণমূলের কাছে আসেন নি। মানুষেরা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাদের চাই। লক্ষ, লক্ষ চিঠি পেয়েছেন তারা মানুষের। জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাকেই চাই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন যে, কংগ্রেস, সিপিএম, এনসিপি বিএসপির মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলও একটি সর্বভারতীয় দল। বশ্যতা স্বীকার না করে, মেরুদন্ড বিক্রি না করে, আত্মসমর্পণ না করে একমাত্র লড়াই করছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য যা শুনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা জানাচ্ছেন যে, ভবানীপুর দখলের মধ্যে দিয়েই আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে তৃণমূল। আর তার আগেই রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। আর এক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরাট সহায়ক হয়ে উঠেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তবে, এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কোন সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন যে, ব্যাঙকে যদি ফুলিয়া হাতি করা হয়, তবে সেই ব্যাঙ তো আর হাতি হয় না, ফেটে যায়। কুয়োর ব্যাঙ তৃণমূল এখন প্রশান্ত কিশোরের পাম্পে হাতি হবার চেষ্টা করছে। এর পরেই শুরু হবে পতন। তিনি জানালেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী জোট করে যদি সাহায্য না করতেন, তবে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সম্ভব ছিল না। এক সাংসদ থেকে ১৯ এ তৃণমূল পৌঁছাতে পেরেছিল কংগ্রেসের সাহায্যেই। এখন সেই মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, কিভাবে বিশ্বাসঘাতকতার ভাইরাস ছড়াতে হয়। আপনার মতামত জানান -