এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সংগঠন এখনও পুরোপুরি সাজানো নেই, বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে

সংগঠন এখনও পুরোপুরি সাজানো নেই, বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা এখন বিজেপির কাছে প্রধান টার্গেট। কিন্তু তার জন্য তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতে নানা পরিকল্পনা করতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু তা না করে নিজেদের মধ্যেই সবথেকে বেশি সংঘর্ষ এবং দ্বন্দ্ব তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। বিজেপির একাংশের অভিযোগ, বীরভূম জেলাতে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে জেলাজুড়ে বিজেপির একটা অংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। যার ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এভাবেই যদি নির্বাচনের আগে দলের অন্দরে দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন দলের একাংশ, তাহলে তাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা যে ময়দানে নামবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতেই বীরভূম জেলায় তৃণমূল অত্যন্ত শক্তিশালী। অনুব্রত মণ্ডলের ঘাঁটিতে এতদিন বিরোধীরা মাথা তুলতে পারেনি। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের সময় কাল থেকে এখানে ধীরে ধীরে উত্থান ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নিজেদের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে না পারে, তাহলে তারা কিভাবে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াতে সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

সূত্রের খবর, বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে রবিবার বিকেলে রামপুরহাট শহরের একটি বেসরকারি লজে রামপুরহাট নগর মোর্চার বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বহিষ্কৃত কিষান মোর্চার সভাপতি সোমনাথ ঘোষ, অপসারিত জেলা বিজেপির শংকর রায় জেলা সহ বেশ কিছু কার্যকর্তা। মূলত জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের বিরুদ্ধে আগামী দিনে কিভাবে লড়াই আন্দোলন তৈরি হবে, তার রূপরেখা এই বৈঠক থেকে তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির বিক্ষোভ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে রণনীতি মূলক বৈঠক  করায় এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। কি আলোচনা হল এই বৈঠকে? এদিন এই প্রসঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত সোমনাথ ঘোষ বলেন, “যারা লোকসভা ভোটে শাসকদলের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন, সেই মন্ডল এবং বুথ সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজের পছন্দের লোকজনকে বসিয়েছেন জেলা সভাপতি। আরএসএসের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ জেলা নেতা কালোসোনা মন্ডলকে সাসপেন্ড করেছেন। এভাবে তিনি এই জেলায় দলকে দুর্বল করছেন। তাই জেলা সভাপতির চক্রান্ত আমরা কড়া হতে মোকাবিলা করব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তার বিরুদ্ধে যেভাবে দলের একাংশ বৈঠক করে বিদ্রোহ ঘোষণা করার কথা বলছে, তাতে তার পক্ষে জেলায় দলকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা কি আদৌ সম্ভব হবে? কেন তিনি সকলকে নিয়ে একসাথে চলতে পারছেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “পিস্তল নিয়ে রামপুরহাট শহর সভাপতিকে খুন করতে যাওয়ার অভিযোগে সোমনাথকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে আমি রাজি নই। ওই দিনের সম্মেলনে জেলা নেতৃত্ব কারা ছিলেন জানি না। তবে অপসারিত মন্ডল সভাপতিদের মন্ডলের সাংগঠনিক কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পরও তারা যদি বলে মুখ নয় মুখোশ, তাহলে আমার কিছু করার নেই। তারাই তো মুখ হতে পারতেন। কেউ যদি বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে দলের বিরোধিতা করেন, তা হলে জানতে হবে, তাদের অন্যরকম অভিসন্ধি আছে।”

একাংশের মতে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে অমিত শাহ বাংলার বিজেপি নেতৃত্বকে টার্গেট দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে 200 আসনে জয় লাভ করার লক্ষ্য নিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে দলের সংগঠন মজবুত করা সবথেকে বেশি প্রয়োজন ভারতীয় জনতা পার্টির। কিন্তু তা না করে যেভাবে বীরভূম জেলায় বিজেপির বিক্ষুব্ধরা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিল, তাতে অস্বস্তি বাড়ছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। সব মিলিয়ে এখন জেলায় বিজেপির এই অস্বস্তি দমাতে শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!