এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পাখির চোখ বিধানসভা ভোট, রাস্তায় নেমে ফোঁটা দিয়ে জনসংযোগ তৃণমূল-বিজেপির

পাখির চোখ বিধানসভা ভোট, রাস্তায় নেমে ফোঁটা দিয়ে জনসংযোগ তৃণমূল-বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে জনসংযোগ বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল শাসক ও বিরোধী দল। ভাইফোঁটাকে কেন্দ্র করে জনসংযোগের কর্মসূচি বেছে নিল শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপি। দলের কর্মীদের নিয়ে গতকাল রাস্তায় নামতে দেখা গেল অনেককে। আবার, করোনা সংক্রমনের কারণে অনেকে ভিডিও কলেও দলের কর্মী সমর্থক ও অন্যান্য মানুষদের ভাইফোঁটা দিলেন। তৃণমূলের দাবি ভাইফোঁটার মতো কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেমন জনসংযোগ বেড়েছে, তেমনি সংগঠনের কর্মীদের সকলকে একসঙ্গে করাও সম্ভব হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুবিধা-অসুবিধা, চাহিদা সমস্ত কিছুর খোঁজ করল তৃণমূল। গতকাল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে এই দৃশ্য দেখা গেল।

বিজেপিও ভাইফোঁটাকে জনসংযোগের বিশেষ উপায় হিসেবে বেছে নিল। গতকাল সকালে কৃষ্ণনগরে বিজেপির দলীয় অফিসে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা কৃষ্ণনগর শহরে পথচারীদের ফোটা দিলেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ভাইফোঁটা পালন করল। ভাইফোঁটা পালনে যথেষ্ট সফল হলো বিজেপি। মহিলা মোর্চা সদস্যরা এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কৃষ্ণনগর শহরের চ্যালেঞ্জ মোড় থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত বিজেপির মহিলা কর্মীরা পথচারী, টোটো চালক দের ভাইফোঁটা দিলেন ও মিষ্টিমুখ করালেন।

বিজেপির নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রাখী চট্টোপাধ্যায় এ সম্পর্কে বললেন, ” প্রথমে জেলার কার্যকর্তাদের ফোঁটা দেওয়া হয়। পরে রিকশ-টোটোচালক, দুঃস্থ মানুষদের ফোঁটা দেওয়া হয়। আমাদের বিশ্বাস, মানুষের মনে সু-প্রভাব ফেলবে এদিনের এই কর্মসূচি।” কৃষ্ণনগর শহরের জনৈক বিজেপি মহিলা কর্মী বাবলি মুখোপাধ্যায় গতকাল ভিডিও কলে ভাইফোঁটা দিলেন। তিনি জানালেন, এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ভিডিও কলে অনেকে ভাইফোঁটা দিয়েছেন। অন্যান্য বছর তিনি রাস্তায় থাকেন। তবে এদিন অনেকে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন বলে তিনি জানালেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনে নদীয়া জেলাতে বিজেপির কাছে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করেছে। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় হলেও, তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রতে পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের হিসেবে নদীয়া জেলার ১৭ টি বিধানসভার মধ্যে মাত্র ৬ টি বিধানসভাতে লিড আছে তৃণমূলের। বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত কল্যাণী ও হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে যায়। লোকসভা ভোটের এই ফলাফলের পর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল লাভের উদ্দেশ্যে এই জনসংযোগ কর্মসূচিকে বেছে নিল তৃণমূল।

শাসকদল তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ মানবতার গর্ব মমতা ‘ কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও মহিলা সমর্থকদের নিয়ে ভাইফোঁটা পালন করল। এই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজের প্রচার ও বিরোধীদের অপপ্রচার রুখে দিতে সচেষ্ট তাঁরা। সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তৃণমূলের সুশাসনের বার্তাও দেয়া হলো এই সংগঠনের পক্ষ থেকে।

কৃষ্ণনগরে এই সংগঠনের শহর সভাপতি অমিতাভ ঘোষ জানালেন যে, এই দিনটিতে তাঁরা সকলকে নিয়ে শহরে পালন করলেন। তাদের সংগঠনের লক্ষ্য হলো মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শকে সামনে রেখে, মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক হিসেবে তাঁর আদর্শ প্রচার করা। কৃষ্ণনগর শহরের এক প্রবীণ তৃণমূল কর্মী তরুণ হালদার জানালেন যে, ভাইফোঁটার মধ্য দিয়ে তাঁরা অনেকের কাছাকাছি আসতে পেরেছেন। নদীয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণী রায় এ প্রসঙ্গে জানালেন, ” ওঁরা নিঃসন্দেহে আমাদেরই কর্মী, দলের হয়ে প্রচার করেন। এদিন ওঁরা সকলকে নিয়ে এই শুভদিনটি পালন করেছেন। এছাড়াও আমাদের অনেক নেতৃত্বই এই দিনটি পালন করেছে।” তবে, করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র জেলার দুটি স্থানে কর্মী সভা করেছেন কিন্তু কাউকে ভাইফোঁটা দেননি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!