এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > ব্যারেজের লকগেট সরানোয় বাধা নতুন নতুন সমস্যা? আরও বিপাকে দুর্গাপুরবাসী? জানুন বিস্তারে

ব্যারেজের লকগেট সরানোয় বাধা নতুন নতুন সমস্যা? আরও বিপাকে দুর্গাপুরবাসী? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্গাপুরে আবারও ফিরে এলো তিন বছর আগের স্মৃতি। হঠাৎ করেই ব্যারেজের লক গেট ভেঙে জলশূন্যর দিকে দুর্গাপুর ব্যারেজ। 48 ঘণ্টা চেষ্টা করেও ব্যারেজের লকগেট সারানো সম্ভব হয়নি। উপরন্তু দুর্গাপুরবাসীর কাছে নতুন আতঙ্ক দাঁড়াচ্ছে জল সংকট। অন্যদিকে ব্যারেজ পুরোপুরি জলশূন্য না হলে তা সরানো যাচ্ছেনা। মোটের ওপর দুর্গাপুর ব্যারেজের লক গেট সারানোয় তৈরি হয়েছে বেশ কিছু সমস্যা। শনিবার হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে দুর্গাপুর ব্যারেজের 31 নম্বর লকগেট। হঠাৎ করেই হু হু করে জল বের হতে দেখে হতভম্ব হয়ে যায় দুর্গাপুর শিল্প শহরের মানুষজন।

অন্যদিকে ব্যারেজের লকগেট ভেঙে জল বেড়ে যাওয়ায় আজ থেকে দুর্গাপুর শিল্পশহর এবং সংলগ্ন বাঁকুড়ার একাংশে জল সংকট তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দুই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে ট্যাংকারে করে জল সরবরাহ করা হবে। তবে লকগেট সরানো নিয়ে এখনো পর্যন্ত দুশ্চিন্তা অব্যাহত। শনিবার ভোরে দামোদরের জলের তোড়ে বিকট শব্দে দুর্গাপুর ব্যারেজের 31 নম্বর লকগেটটি ভেঙে পড়ে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার এই ঘটনার জন্য রাজ্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন। এখনো পর্যন্ত লকগেট মেরামতির কাজ শুরু করা যায়নি। প্রবল গতিতে বেড়িয়ে যাওয়া জলস্রোত আটকানোর জন্য বালির বস্তা ফেলে প্রাথমিক চেষ্টা হলেও তাতে লাভ কিছু হয়নি।

রবিবার থেকে ব্যারেজ জলশূন্য করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে 31 থেকে 34 নম্বর লকগেট এলাকাটি ঢালু থাকার জন্য জলের গতিকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। উপরন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জলে থাকা বিপুল পাঁক। রবিবার সন্ধ্যার পর তিনটি জেসিপি মেশিনের সাহায্যে পাঁক পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যারেজ সম্পূর্ণ জলশূন্য নাহলে লকগেট সরানোর কাজ শুরু করা যাবেনা। তবে মনে করা হচ্ছে, সোমবার পুরোপুরি ব্যারেজের সমস্ত জল বের করে দেওয়া সম্ভব হবে। জল বার করার কাজে গতি আনতে সোমবার বেলা 11 টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে লক গেট বিপত্তির পরেও জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যেই রবিবার সকালে জল সরবরাহ করা হয়েছিল দুর্গাপুরে। কিন্তু বিকেলের পর থেকে আর কোন জল আসেনি। ফলে সোমবার সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে প্রবল জল সংকট। দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে ট্যাংকারে করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল দেওয়া শুরু হয়েছে। ট্যাংকার আসার পর দেখা গিয়েছে, জল নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন। অন্যদিকে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তরফ থেকে জলের পাউচ বিলি করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত 2017 সালের নভেম্বর মাসেও এভাবেই দুর্গাপুর ব্যারেজের 1 নম্বর গেট ভেঙে যায় এবং তখনও এরকম বিপত্তি তৈরি হয়েছিল।

অন্যদিকে ব্যারেজ বিপর্যয়ের খবর পেয়ে দ্রুত ভেঙে পড়া 31 নম্বর লকগেট মেরামতের কথা জানিয়েছে রাজ্য। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মৎস্যজীবীদের সুবিধার্থে রাতের অন্ধকারে গেট তুলে জল ছাড়া হয়েছিল। পরে সেই গেট নামানো সম্ভব হয়নি এবং ঘটে এই বিপত্তি। যদিও সেচ দপ্তর ও ডিভিসির ইঞ্জিনিয়াররা এই অভিযোগ একযোগে অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত দুর্গাপুর ব্যারেজের গেট যত দ্রুত সম্ভব সারানোর আর্জি রেখেছে দুর্গাপুরবাসী। তবে লকগেট ভাঙায় সবথেকে বিপত্তি যে দুর্গাপুরবাসীদের জন্যই তৈরি হয়েছে, সে কথা অনস্বীকার্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!