এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জোট বাঁধছেন তৃণমূলের দুই ‘বিদ্রোহী’ হেভিওয়েট নেতা? ‘রাস্তা বদলের’ সমীকরণে ঘুম উড়ছে শাসকদলের

জোট বাঁধছেন তৃণমূলের দুই ‘বিদ্রোহী’ হেভিওয়েট নেতা? ‘রাস্তা বদলের’ সমীকরণে ঘুম উড়ছে শাসকদলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করলেও, তাদের বহু নেতার দল বিরোধী মন্তব্য নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলছে শাসক দলকে। কোচবিহারে নতুন জেলা কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দেখা গেছে কোচবিহার দক্ষিনের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে। পরবর্তীতে সেই মিহিরবাবুর দলবদলের জল্পনা যখন চূড়ান্ত আকার ধারণ করে, ঠিক তখনই তার বাড়িতে উপস্থিত হতে দেখা যায় কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে। পরবর্তীতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তৃণমূলের তরফে দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয় কৃষ্ণ বর্মন মিহিরবাবুর খোঁজে গেলেও তার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে মিহির গোস্বামীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এখনও পর্যন্ত এই রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেননি সেই তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু হঠাৎ করেই ফেসবুকে তার একটি মন্তব্য কোচবিহার জেলা জুড়ে নতুন করে আলোড়ন পড়তে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন ফেসবুকে মিহির গোস্বামী লেখেন, “প্রতিশোধ নেওয়ার চেয়ে রাস্তা বদলে ফেলা ভালো।” স্বাভাবিক ভাবেই তার এই রাস্তা বদলের কথা শুনে একাংশ বলছেন, তাহলে কি তিনি এখন দলবদলের কথা বোঝাতে চাইলেন? সত্যি সত্যিই কি তাহলে দলবদল করতে চলেছেন কোচবিহারের এই হেভিওয়েট তৃনমূল বিধায়ক?

এদিকে মিহির গোস্বামীর পাশাপাশি বিদ্রোহী হয়ে উঠতে দেখা গেছে জলপাইগুড়ির প্রবীণ তৃণমূল নেতা মোহন বসুকে। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরবঙ্গের এই দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা যেভাবে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছেন, তাতে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, এই দুই তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কের দলবদল শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

যেভাবে তারা দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হচ্ছেন, তাতে তারা যে আর কোনো কিছুকেই পরোয়া করবেন না, তা তাদের অবস্থানেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার এই দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা দলবদলের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তাহলে তা যে শাসকদলের কাছে বড়সড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সত্যি সত্যিই কি মিহির গোস্বামী দলবদল করছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “যে কোনো লেখা বিভিন্ন বার্তা বহন করে। মিহিরবাবু কোন ভাবনা থেকে লিখেছেন, আর আমি কোন ভাবনা থেকে বলব, সেটা ঠিক নয়। তবে আমার এই লেখা পড়ে মনে হয়েছে, ওকে নিয়ে সংবাদমাধ্যম হইচই করছে, তাই তিনি নীরবতা নিতে চাইছেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “ওনার বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা ওনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। স্বার্থপর মানুষের সঙ্গে চলার চেয়ে একলা চলা  ভালো বলেছেন।” এদিকে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে দেখা গেছে জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতা মোহন বসুকে।

এদিন তিনি বলেন, “জেলা কমিটিতে আমি থাকলেও জেলা কমিটির কোনো কর্মসূচিতে থাকব না। কারণ এই জেলা নেতৃত্বের উপর আমার কোনো ভরসা নেই। রাজ্য নেতৃত্ব গোটা বিষয়টি জানে। তারা দু মাস সময় চেয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তারা কিছু জানায়নি। মিহিরবাবুর মত প্রবীণ নেতা যা করছেন, তা সমর্থন করছি। দলে প্রবীণ নেতাদের সম্মান দেওয়া উচিত।” সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের দুই জেলার দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার এই দল বিরোধী মন্তব্য আগামী দিনে কোন বার্তা বহন করে আনে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!