এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > উন্নয়ন আটকে দিচ্ছেন খোদ শাসকদলের বিধায়ক অভিযোগে শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে

উন্নয়ন আটকে দিচ্ছেন খোদ শাসকদলের বিধায়ক অভিযোগে শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে

উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। তাঁর স্বপ্ন বাংলাকে বিশ্ব দরবারের কাছে উন্নতির শিখরে পৌঁছানো। সেই লক্ষ্যে একের পর প্রকল্প ঘোষণা এবং তার শিল্যান্যাস দেখেছে বাংলার মানুষ। উত্তর থেকে দক্ষিণ সব দিকেই উন্নয়নের এক অনন্য নজির রাখতে চায় বর্তমান সরকার, যা বাম আমলে হয়নি। তবে এবার সেই উন্নয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগের তীর তৃনমূলেরই বিধাকয়কের দিকে।
মাথাভাঙা-১ নং ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ধরলা নদীর বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে হাসানের ঘাটে। ধরলা নদীর ভাঙন আটকাতে ৯০০ মিটার পাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে দুই ঠিকাদারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে। তবে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিধায়ক হিতেন বর্মন ইচ্ছাকৃতভাবে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। হিতেন বাবুকে এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বাঁধের কাজ নিম্নমানের হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টার কোনও প্রশ্নই নেই। তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁধের কাজে ব্যবহার করা পাথর আকারে ছোট বলে বিধায়ক অভিযোগ করেন এবং তিনি সঙ্গে যাওয়া সমর্থকদের জানান এই বাঁধ নির্মাণে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু গত শনিবার ঠিকাদারি সংস্থা কাজের বাজেট সাইন বোর্ড দিয়ে টাঙিয়ে দেয়। এতে বাঁধ নির্মাণের জন্য ১ কোটি ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ১৫১ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়, যার ফলে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ঠিকাদারি সংস্থার অভিযোগ, বাঁধের কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি বলে বিধায়ক কাজে বাধা দেওয়ার প্ররোচনা দিয়েছেন। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও সমর্থকদের মধ্যে অশান্তিও বাঁধে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমাদের প্রচুর জমি ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে, আমরা চাইছি দ্রুত বাঁধটি নির্মাণ হোক। কিন্তু বিধায়ক বরাদ্দ টাকা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যদিও হিতেনবাবু নিজে সেসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই যথারীতি শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!