এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তল্লাশিতে জেরবার মমতার মন্ত্রী, শেষ পর্যন্ত কি ধরবে ইডি? জল্পনা বাড়ালেন এই হেভিওয়েট!

তল্লাশিতে জেরবার মমতার মন্ত্রী, শেষ পর্যন্ত কি ধরবে ইডি? জল্পনা বাড়ালেন এই হেভিওয়েট!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ সকাল থেকেই হাত খুলে খেলতে শুরু করেছে ইডি। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে কাকভোর থেকেই তল্লাশি করছে তারা। এছাড়াও রাজ্যের 12 টি জায়গায় সমান গতিতে সেই কাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার ফলে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, এই প্রথম পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোনো মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে ইডি। তাহলে কি এবার বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে? এসবের মাঝেই গোটা বিষয়ে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডির তল্লাশি নিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হয়। আর বালুরঘাটের বাড়ি থেকে সেই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “রথীনবাবু খুব চালাক মানুষ। সেই কারণে সরল সাদাসিধা জীবন যাপন পালন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকার সময় বহু দুর্নীতি করেছেন। সেই কারণেই ইডি তার বাড়িতে তল্লাশি করছে। চিন্তা নেই, তৃণমূলের এই চোরেরা উপযুক্ত সময় সঠিক জায়গায় যাবে।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি বিজেপির রাজ্য সভাপতির কাছে খাদ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বড় কোনো তথ্য রয়েছে? পৌর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এতদিন বহু তথ্য সামনে এনেছিল। আর এবার ইডির পদক্ষেপ তাতে ফাইনাল টাচ দেবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে অনেকেই অনেক প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু তারা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়েই এবার ময়দানে নেমেছেন। যারা দুর্নীতি করেছেন, যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন। ফলে তাদের এবার জেলে যেতেই হবে। আর সেই সময়ও হয়ে এসেছে। যার কারণেই মন্ত্রীর বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উপযুক্ত তথ্য থাকলে এবং দুর্নীতির প্রমাণ থাকলে খুব তাড়াতাড়ি সুখবর পাবেন রাজ্যের মানুষ। আইনের জালে শাস্তি পাবেন প্রকৃত চোরেরা বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রথীনবাবু হয়ত নিজেও ভাবতে পারেননি যে, তার বাড়িতে ইডি এভাবে হানা দেবে এবং লাগাতার তল্লাশি চলবে। যার কারণে তিনি নিজেও জেরবার হয়ে রয়েছেন বলে দাবি একাংশের। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অন্য জিনিস। তাদেরকে দুর্বল ভাবলে ভুল করবেন শাসক দলের নেতারা। তবে সকলের একটাই প্রশ্ন, লাগাতার তল্লাশি তো চলছে। কিন্তু মন্ত্রীকে নিয়ে আজকেই বড় কোনো পদক্ষেপ নেবে তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর এই প্রশ্ন নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমালোচকদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!