এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্র নাকি জমিদারি প্রথা চালাচ্ছে! কাকে কি বলছে তৃনমূল? স্লোগান শুনে হাসছে বিরোধীরাও!

কেন্দ্র নাকি জমিদারি প্রথা চালাচ্ছে! কাকে কি বলছে তৃনমূল? স্লোগান শুনে হাসছে বিরোধীরাও!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রীয় সরকার নাকি বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত করছে! একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না, সেই জন্য তৃণমূল নেতাদের কত রাগ! তারা নাকে কান্না কাঁদা শুরু করেছেন। কেন আমাদের টাকা দেওয়া হবে না, আমাদের টাকা ফেরত চাই ইত্যাদি, ইত্যাদি। এমনকি তৃণমূলের যুবরাজ, যিনি অনেক বড় বড় কথা বলেন, যিনি এক পয়সার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন, তিনি আবার বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি জমিদারি চালাচ্ছে। আর এবার সেই বঞ্চনার দাবিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নতুন স্লোগান সামনে আনা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, এবার তারা নতুন স্লোগানকে সামনে রেখে লড়াই করবে। যে স্লোগানটি হল, বিজেপির জমিদারি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই। আর এসব দেখেই বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, হায় রে! কে কাকে জমিদারি রাজ শেখাচ্ছে! যে দলটাই চলছে জমিদারি প্রথার মত, তারা আবার নাকি বিজেপির দিকে আঙ্গুল তুলছে! সত্যিই, এসব তৃণমূলের কাছ থেকেই আশা করা যায় বলেই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আজ রাজভবন চলো অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল তাদের নতুন স্লোগান সামনে এনেছে। তারা বলছে, এবার থেকে তাদের নতুন স্লোগান, বিজেপির জমিদারি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূলের মুখ থেকে এই ধরনের কথা কি শোভা পায়? একাংশের দাবি, জমিদারি প্রথার অর্থ কি আদৌ জানে তৃণমূল কংগ্রেস? তাদের দল কিভাবে চলছে? জমিদার মানে, একা একজন ব্যক্তি, তিনি যা বলবেন, সেটাই শেষ কথা। আর বাংলায় যদি দেখা যায়, তাহলে তো তৃণমূল দলে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। কোন দপ্তর কিভাবে চলবে, তার সবটাই তো ঠিক করেন একজনই। মুখ্যমন্ত্রীর কথাই তো শেষ কথা হয়ে দাঁড়ায়। কাজেই সেই দলের মুখ থেকে বিজেপি জমিদার প্রথা চালাচ্ছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা শুনে সকলেই হাসতে শুরু করেছেন। তেমনটাই বক্তব্য সমালোচক মহলের।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল সরকারের আসার পর থেকেই এই রাজ্যে শুরু হয়েছে জমিদারি প্রথা। শাসক দল যা বলবে, সেটাই শেষ কথা। পুলিশ চলবে তাদের কথায়। বিরোধী শক্তিকে কার্যত টুটি চিপে হত্যা করবে শাসক দলের নেতারা। এটাই তো এখন পশ্চিমবঙ্গের পরম্পরা। ফলে জমিদাররা যে কায়দায় তাদের ওপরে কেউ কথা বললেই চোখ রাঙানি দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিত, ঠিক একই কায়দায় তো কাজ করছে এই রাজ্যের শাসক দল। ফলে তাদের মুখ থেকে বিজেপি জমিদারি চালাচ্ছে, এই ধরনের কথা আদৌ মানায় না। পিসি এবং ভাইপো মিলে গোটা দলকে পরিচালনা করছেন। তাই তারা আগে নিজেদের দিকে দেখুক, তারপরে বিজেপিকে জমিদার বলে আক্রমণ করবেন বলেই পাল্টা দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের স্লোগান তোলা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, তাদের চুরি এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্যকে বলেছে, হিসাব দেবে, তারপরে টাকা দেওয়া হবে। তাই কোনো কিছু গতি না দেখে এখন বিজেপিকে জমিদার বলে ময়দান কাঁপানোর চেষ্টা করছে শাসক দল। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই করতে পারবে না তৃণমূল নেতারা। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!