এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সামান্য দলীয় প্রধান করছেন কোটি-কোটি টাকার দুর্নীতি! ক্ষেপে লাল তৃণমূল কর্মীরা! নিলেন পদক্ষেপ

সামান্য দলীয় প্রধান করছেন কোটি-কোটি টাকার দুর্নীতি! ক্ষেপে লাল তৃণমূল কর্মীরা! নিলেন পদক্ষেপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে দুর্নীতি নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপান-উতোর শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। করোনা পরবর্তীতে রেশন দুর্নীতি নিয়ে এবং আমফান পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে এতদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা দুর্নীতির অভিযোগ করলেও এবার সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখা গেল। এবার দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে শাসক দলের অন্দরেই উঠলো তীব্র দুর্নীতির অভিযোগ আর সে কারণেই প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে মুখর হল তৃণমূল দলের একাংশ।

ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচকের দু’নম্বর ব্লকে। দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে অপসারণের দাবিতে বিডিও অফিসে একযোগে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ও কর্মীরা। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিলুফার ইয়াসমিন কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্য ও তৃণমূল কর্মীদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, প্রধানের বিরুদ্ধে দলীয় স্তর এবং প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।

বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা উপসমিতিগুলিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ব্লক কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের বিডিও সঞ্জয় ঘিসিং এই অনাস্থা বৈঠক বাতিল করে দেন। অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূল কর্মীদের দাবি, বিডিও ইচ্ছাকৃতভাবেই পঞ্চায়েত প্রধানকে দুর্নীতির হাত থেকে আড়াল করার জন্য এই অনাস্থা বৈঠক বাতিল করেন। আর তার জন্য বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখান আজ তৃণমূল কর্মীরা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান নিলুফার ইয়াসমিনের এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পঞ্চায়েত উপপ্রধান সাইদুল শেখ দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত সদস্যরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বিডিও সঞ্জয় ঘিসিং এরও কোন রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এই ঘটনায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান নিলুফার ইয়াসমিন গোটা জেলা জুড়ে দুর্নীতি চালিয়েছেন। বস্তুত এই দুর্নীতি এখন তৃণমূলের অন্দরের সবাই স্বীকার করে নিচ্ছে।

অন্যদিকে তৃণমূলের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক শুভময় বসু ঘটনা প্রসঙ্গে দলের কথা তুলে ধরেন এবং এই ঘটনায় দল যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সে কথাও বলেন। বাংলায় 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বিশেষ সময় নেই। তারই মাঝে যেভাবে জেলায় জেলায় তৃণমূলের দুর্নীতির খবর সামনে আসছে তা যে রাজ্য তৃণমূল শিবিরকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলবে সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও তৃণমূল নেত্রী দুর্নীতি রোধ করতে কড়া বার্তা দিয়েছেন দলকে। যার ফলে ইতিমধ্যে তৃণমূল দলে শুরু হয়েছে শুদ্ধিকরণ নীতি। কিন্তু শুদ্ধিকরণের আড়ালে বহু ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি চোরাগোপ্তাভাবে চলে আসছে সে কথা প্রমাণ করলো মালদা কালিয়াচকের ঘটনা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!