শাসকদলের মদতে নজিরবিহীন বোমাবাজি শান্তিপুরে, এলাকাবাসীরা বাড়িছাড়া নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য September 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুক্রবার রাত থেকে সমাজবিরোধীদের অত্যাচারে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে শান্তিপুরের সাহেবডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, সমাজবিরোধীদের দুই পক্ষের এলাকা দখল নিয়ে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে মারাত্মক। বোমা গুলির লড়াইতে মুহুর্মুহু কেঁপে ওঠে এলাকা। মানুষ প্রাণভয়ে এলাকাছাড়া হয়। অবশেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি নদীয়ার শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙ্গা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চলে ধ্বংসলীলা। এরপর এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী, দমকল বাহিনী পৌঁছায়, তারপর অবস্থা ধীরে ধীরে আয়ত্তে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় সমাজবিরোধীদের দুই দল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এলাকা দখল নিয়ে। সম্প্রতি স্থানীয় একটি মাঠের দখল নিয়েও 2 দল দুষ্কৃতীর মধ্যে চলেছে ব্যাপক বোমাবাজি। সম্প্রতি জানা গেছে, শান্তিপুর ও কালনা ঘাটের মধ্যে একটি ব্রিজ তৈরি হবার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এই ব্রিজ তৈরি হওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। জমি অধিগ্রহণে এলাকার তিনটি মসজিদের জমি চলে যাবে বলে শোনা যায় আর এই নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল। অন্যদিকে জমি অধিগ্রহণের টাকা কোন পক্ষ নেবে, তা নিয়ে শুরু হয় চরম বাকবিতন্ডা। ক্রমশ এই বাকবিতন্ডা পৌঁছায় বোমাবাজি,অগ্নিসংযোগ,বাড়ি ভাঙচুরে। শুক্রবার রাত থেকেই বোমাবাজি শুরু হয় বলে জানা গেছে। শনিবার সকাল হতে না হতেই শুক্রবার রাতের বোমাবাজির রেশ ধরে শুরু হয় নতুন করে আবার বোমা গুলির লড়াই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি খড়ের গাদায়। চলে পাল্লা দিয়ে ভাঙচুর। সকাল থেকে ব্যাপক বোমাবাজির ফলে এলাকাবাসীরা কোনরকমে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান বলে জানা গেছে।। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কয়েকটি বোমা এবং ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে খবর। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই গন্ডগোলের পিছনে হাত রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যসহ শাসকদলের। যদিও এই ঘটনায় শাসকদলের জড়িত থাকার অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, এলাকার সমাজবিরোধীদের মধ্যেই টাকা-পয়সার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল আগেও হয়েছিল, এবারও হয়েছে। এর সাথে রাজনীতির কোন যোগ নেই। জানা গেছে, নজিরবিহীন অশান্তি হওয়ার পরে পুলিশের ভয়ে গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ এই মুহূর্তে বাড়িছাড়া। এদিকে এই বোমাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এলাকায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তবে এই ঘটনায় জড়িত কাউকেই পুলিশ এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করে উঠতে পারেনি। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবে সাহেবডাঙ্গা এলাকা এখনো থমথমে। আপাতত নজর থাকবে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে দোষীদের ধরতে পারে কিনা! আপনার মতামত জানান -