এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিমান চলাচলে বাধা হচ্ছে নতুন করে বেড়ে ওঠা করোনা পরিস্থিতি

বিমান চলাচলে বাধা হচ্ছে নতুন করে বেড়ে ওঠা করোনা পরিস্থিতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেন,বাস, অটোর সাথে সাথে এয়ারপোর্টগুলিতেও যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি এরকমই ছিল। তবে আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে একটু একটু করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চলছে সর্বক্ষেত্রেই। ট্রেন না চললেও বাকি সবকিছুই মোটামুটি শুরু হয়ে গেছে চলা। বিমান পরিষেবাও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে। কিন্তু হঠাৎ করেই দেশজুড়ে করোনা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় বিমানে উঠতে গেলে এবার থেকে মেনে চলতে হবে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকটি নির্দেশ।

কলকাতা দমদম বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রী যারা কলকাতায় অবতরণ করবেন, তাঁদের 14 দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। নিজেদের শরীর খারাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। এ প্রসঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের করোনা হেল্পলাইন নম্বর নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও দমদম বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করতে গেলে রাজ্য সরকার নিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর হাতে সেল্ফ ডিক্লারেশন ফর্ম জমা দিতে হবে এবার থেকে।

এছাড়াও বাইরে থেকে কোনো যাত্রী যদি দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং তাঁর শরীরে যদি করোনা পাওয়া যায়, তাহলে তাঁকে কাছাকাছি যেকোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে করোনা টেস্ট করা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ আসলে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। উপসর্গহীন বা কম উপসর্গের যাত্রীদের প্রাথমিকভাবে হোম আইসোলেশনে বা ইনস্টিটিউশনাল আইসোলেশনে রাখা হবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে যারা বিমানে উঠতে চলেছেন, তাঁদের এবার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জোর দেওয়া হবে। এর জন্য প্রতি যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। মাস্ক পড়া প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক। তার সাথে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে যাত্রীদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যাত্রীদের বলা হয়েছে, হাঁচি-কাশি থেকে সবসময় সতর্ক থাকতে। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যদি কোনো যাত্রীর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক না থাকে তাহলে তাঁকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবেনা। অন্যদিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন একাধিকবার বিমানবন্দর জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দিকটিও বিশেষ নজরে রাখা হয়েছে। করণা সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বিমানবন্দরের বাইরে এবং ভেতরে লেখা থাকছে।

বিমানবন্দরগুলি এতকিছু নির্দেশিকা জারি করলেও শনিবার দেখা গেছে, দমদম বিমানবন্দর থেকে সারা দিনে মোটে তিনটি বিমান চলাচল করেছে। যা সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, রবিবার থেকে আবার যাত্রী সমাগম হবে দমদম বিমানবন্দরে। আপাতত করোনা পরিস্থিতিকে নজরে রেখেই সব রকম নির্দেশিকা মেনে যাত্রী চলাচলের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে বলে জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে দেশে হঠাৎ করেই লাগামছাড়া ভাবে বেড়ে উঠছে আবার করোনা। সাম্প্রতিককালে করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও আবার পুরনো ছবি দেশের সর্বত্র। তবে অন্যান্য রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গের ছবি কিছুটা হলেও উন্নত বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। যদিও করোনা পরিস্থিতি থাকাকালীন রাজ্যের কেউই দূরবর্তী জায়গায় বিমানে চড়ে যাতায়াত করতে চাইবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দরের নির্দেশিকে যাত্রী টানতে পারে কিনা সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!