এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত এসএমএসকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল

নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত এসএমএসকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল

রাজ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের আগে নির্বাচন সংক্রান্ত ভুয়ো একটা এসএমএস ভাইরাল হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়ে যান আইএমএ-র সম্পাদক তথা তৃণমূলের সংসদ সদস্য ডাঃ শান্তনু  সেন। এসএমএমটি ছিল এরকম-” রাজ্যের সমস্ত এমবিবিএস চিকিৎসক শীঘ্রই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের ব্যালট পাবেন। যত বেশি সংখ্যক পারেন, ব্যালট সংগ্রহ করুন এবং ডাঃ শান্তনু সেনের কাছে পাঠান (ফাঁকা ব্যালট হলে ভালো)।” এরকম একটা খবর সামনে আসায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  চিকিৎসকদের মধ্যে। এসএমএসে শান্তনু বাবুর নাম ছাড়াও ইংরাজিতে বড় হরফে লেখা ছিল ‘এইচপি-ডিআর এসসেন’।  এর জেরেও তীব্র চর্চা শুরু হয়। তবে চিকিৎসকরা ঠিক বুঝেছিলেন যে, এটি আসলে একটি বাল্ক মেসেজ যেটি ভাইরাল করার জন্যেই একইসঙ্গে একাধিক জনকে পাঠানো হয়েছে।

প্রিয় বন্ধু বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ – Priyo Bandhu Bengali

—————————————————————————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে এসএমএসের অর্থ অনুযায়ী আইএমএ রাজ্য সম্পাদককে ফাঁকা ব্যালট পাঠাতে বলার মানে দাঁড়াচ্ছে অবাধে ছাপ্পা ভোট করার ভয়ানক প্ল্যান। এমনটা বিষয়কে নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে চিকিৎসক মহলে। অন্যদিকে, এটিতে শান্তনু বাবুর নাম যুক্ত থাকায় তিনিও এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত কিনা নিয়েও দ্বন্দ্বে পড়ে যায় চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গক ডক্টর্স ফোরামে। প্রসঙ্গত, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ডাক্তারদের বাড়িতে পৌছে যায় ব্যালট। তাতে ভোট দেওয়ার পর ব্যালট জমা পড়ে কাউন্সিল অফিসে। কিন্তু এবার ফাঁকা ব্যালট পাঠানোর খবর চমক লাগিয়েছে চিকিৎসক মহলের। বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে লালবাজারের সাইবার সেল বিভাগে। তদন্তের দাবী জানানোর পাশাপাশি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীকে অভিযোগ জানিয়ে দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেন তাঁরা। মানসবাবু জানান যে, বিতর্কিত মেসেজটি বক্তব্য তিনি পড়েছেন। দ্রুতই এর কারণ অনুসন্ধান করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

প্রিয় বন্ধু বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ – Priyo Bandhu Bengali

—————————————————————————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

 

অন্যদিকে,এসএমএস কান্ডে অভিযুক্ত শান্তনুবাবু জানান যে, বহুদিন ধরেই চিকিৎসক-রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। আজ অব্দি এ ধরনের কাজ তিনি করেননি। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই সংশয় প্রকাশ করলেন এদিন। এবং এটাও জানালেন এই সমস্যার জট কাটাতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি,গোটা চিকিৎসক সমাজকে বার্তা দিলেন , এ ধরনের ভুয়ো এসএমএসকে গুরুত্ব না দিলেন। তাঁরা তাঁদের পছন্দসই প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারেন বলেই জানান তিনি। এদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর রাজ্য সভাপতি ডাঃ রেজাউল করিমেরও শান্তনু বাবুকে সমর্থন করে বললেন যে, একজন সংসদ সদস্য কোনওভাবে একাজে যুক্ত থাকবেন না বলেই তাঁর বিশ্বাস কিন্তু, এই জট কাটানো দরকার। কারা এমন মিথ্যে রটনা করেছে তা প্রকাশ্যে আসা দরকার। পুলিশকে সমস্ত ঘটনাই জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।উল্লেখ্য,২০১১ সাল থেকেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের নেতৃত্বে চলছে। দেড় বছর হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের জন্ম হয়েছে এবং এটা নিয়ে তরুণ চিকিৎসকসমাজেও বেশ উন্মাদনা বাড়ছে ক্রমশ। সংগঠনভুক্ত অনেক চিকিৎসকই রাজ্যের ডাক্তারদের নীতি নির্ধারক এই কাউন্সিলের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দুর্নীর্তি, স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে সংস্থার ভিতরে থেকে লড়াই চাইছিলেন। সেই মতো এবারও তৃণমূলের ডাক্তার সংগঠন পিডিএ ছাড়াও ফোরামের তরফে সংগঠনভুক্ত একাধিক চিকিৎসক এই নির্বাচনে দাঁড়াতে চাওয়ায় দুদিক থেকে একটা রেষারেষি চলতে থাকে। প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে নির্বাচনের দিনক্ষণও প্রকাশ করা হয়। এদিন প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাও। তাতে উল্লেখ রয়েছে ৩৮ জন চিকিৎসক ১৪টি পদের জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তার মধ্যে ১৭জন মেডিক্যাল সার্ভিসে এবং ১৭ জন চিকিৎসক হেলথ সার্ভিসে আসন দখলের জন্য ময়দানে নেমেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!