“সব দুষ্কৃতী তৃণমূলেই” দলীয় কর্মী খুনের পরেই আরও চাপে ঘাসফুল ! অস্বস্তিতে মমতা! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য April 4, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নদীয়ার নাকাশিপাড়ায় ভোটের মরসুমে ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ ঘটনা। বিরোধীদের উপর আক্রমণ, এতো স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু একেবারে শাসকদলের এক কর্মীকে যেভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, তাতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তৃণমূলের মধ্যেও। এই গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, নাকি বিরোধীদের কারও হাত রয়েছে, সেটা তদন্তের বিষয়। কিন্তু তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে রাজ্যের শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিরোধী নেতারা। নদীয়ার নাকাশিপাড়ার এই ঘটনায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তারপর আরও চাপে পড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় সিপিএমের যোগ রয়েছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু নাকাশিপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় অন্য কথা বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “যত দুষ্কৃতী সব তৃণমূলের মধ্যেই রয়েছেন। সেই কারণে তৃণমূলের কেউ খুন হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলা হয় এবং রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা না করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর ভরসা করা হয়।” বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের সবথেকে বড় শত্রু এখন তৃণমূলই। তাই নাকাশিপাড়ায় যে খুন হয়ে গেল, তা নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ। কিন্তু এটা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণ কিনা, সেটাও খুঁজে বের করা প্রয়োজন। কারণ তৃণমূল খুব সহজেই ভোটের ময়দানে ফায়দা তোলার জন্য বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপাতেই পারে। তবে পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হয়ে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের পর সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে হবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -