এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সব মামলায় জামিন, মুক্তির নির্দেশ আদালতের, পুরোনো মামলায় আবারো গ্রেপ্তার আরামবাগ টিভির সফিকুল

সব মামলায় জামিন, মুক্তির নির্দেশ আদালতের, পুরোনো মামলায় আবারো গ্রেপ্তার আরামবাগ টিভির সফিকুল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কয়েকমাস আগে রাজ্য ও দেশে চলা সম্পূর্ণ লকডাউন কালে হুগলি জেলার আরামবাগ থানা থেকে ৫৭ টি ক্লাবকে ১ লক্ষ টাকা মূল্যের চেক প্রদান করা হয়েছিল। আর এই খবর নিজের চ্যানেলে সম্প্রচারিত করেছিলেন আরামবাগ টিভির সম্পাদক তথা সঞ্চালক সফিকুল ইসলাম। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি চ্যানেলে সম্প্রচারিত করেছিলেন পুলিশের উৎকোচ গ্রহনের মতো কিছু বিষয় ।

এরপরেই গত ২৯ সে জুলাই মধ্যরাতে আরামবাগ টিভির সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী আলিমা খাতুন ও আরামবাগ টিভির সাংবাদিক সুরজ আলী খানকে তাদের বাড়ির জানলা- দরজা ভেঙে অকস্মাৎ গ্রেফতার করে পুলিশ।

স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় তৃণমুল পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁদেরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে তাঁদেরকে শুধু গ্রেফতার করেই পুলিশ ক্ষান্ত হয়নি, একের পর এক অভিযোগ তথা কেস চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। যাতে আদালত থেকে জামিন পাওয়া তাদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তবে, তাঁদেরকে এভাবে পুলিশ গ্রেফতার করার পর তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দল, বিশিষ্ট কিছু আইনজীবী ও মানবতাবাদী কিছু সংগঠনকে।

তাঁদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সফিকুল ইসলামদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত মামলাতে শেষপর্যন্ত জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গেই হাইকোর্ট তাঁর জামিনের সমস্ত শর্ত পূরণের পর গতকাল সফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী আলিমা খাতুন ও তাঁর চ্যানেলের সাংবাদিক সুরুজ আলী খানকে জেল থেকে মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এমনকি আদালত থেকে তাঁদেরকে কারামুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত অর্ডারগুলির কপিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু অভিযোগ উঠেছে জেল থেকে মুক্তি পাবার আগ মুহূর্তেই পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে শফিকুল ইসলামকে। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, তাঁর নামে অভিযোগ আনা পুরনো একটি মামলার সূত্র ধরেই পুনরায় সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে আরামবাগ মহিলা থানা। সংবাদ সূত্রের সংবাদ অনুযায়ী, সুমন্ত জস নামের এক সরকারি চাকুরীজীবী ব্যক্তি আরামবাগ টিভির সম্পাদ্দক সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যে খবর দেখানোর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তার ভিত্তিতেই পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে শফিকুল ইসলামকে। কিন্তু এরকম কোন মামলায় সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার না করার শর্ত দিয়ে ইতিপূর্বেই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক স্পষ্টভাবে এই নির্দেশ দিয়েছেন। তবে নির্দেশাবলীতে একথাও বলা হয়েছিল যে, মামলায় তদন্তের স্বার্থে সফিকুলকে সহযোগিতা করতে হবে।

আর এর জেরেই মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে সফিকুল ইসলামকে বেশ কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, এই জিজ্ঞাসাবাদ চলার পরেই অকস্মাৎ গ্রেপ্তার করা হয়েছে সফিকুল ইসলামকে। তবে গতকাল জেল মুক্ত হয়েছেন, সফিকুল ইসলামের স্ত্রী আলিমা খাতুন ও আরামবাগ টিভির সাংবাদিক সুরজ আলি খান প্রমুখরা।

সফিকুল ইসলামকে পুনরায় গ্রেফতার করা প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ” আরামবাগ মহিলা থানা আদালত অবমাননা করেছে। আমরা দ্রুত বিষয়টি আদালতের নজরে আনছি।”

প্রসঙ্গত, সফিকুল ইসলামকে পুনর্বার গ্রেফতারের বিষয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের জনৈক বিশিষ্ট বামপন্থী আইনজীবী সেইসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ” আরামবাগ টিভির সাংবিধানিক অধিকারকে হরণ করার জন্য এই সরকার যে সড়যন্ত্র করেছে, তা আরামবাগ মহিলা থানার এই কর্মকাণ্ড থেকেই পরিষ্কার। আমরাও আইনি লাড়াই চালিয়ে যাব।”

আবার শফিকুল ইসলামকে এই অকস্মাৎ গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আরামবাগ কোর্টে সফিকুল ইসলামের আইনজীবী এরূপ হাজরা মন্তব্য করেছেন, “একের পর এক ঘটনা আমাদের জেদকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা সবরকম আইনি লড়াই চালাচ্ছি। এটা মেনে নেওয়া যাবে না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!