এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দলে ভাঙ্গন রুখতে বিরোধীদের চিন্তা বাড়িয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

দলে ভাঙ্গন রুখতে বিরোধীদের চিন্তা বাড়িয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ক্ষমতায় এসেই ঐক্যের সুর সোমেন মিত্রের গলায়। জল্পনা চলছিল,প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অনুগামীদের সরিয়ে নিজের ঘনিষ্টদের জেলা সভাপতির পদে বসাবেন সোমেন বাবু। কিন্তু সে জল্পনাকে মিথ্যে করে এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের নবনিযুক্ত পদাধীকারীদের প্রথম বৈঠকে সোমেন মিত্র জানিয়ে দিলেন রাজ্যের ২৯ টি সাংগঠনিক জেলার পুরানো কমিটি এবং সভাপতিদের একই পদে বহাল রাখা হল। তবে জেলা সভাপতির পাশাপাশি কো-অর্ডিনেটর পদটি বিলুপ্ত করারও সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি।

বেশ কয়েকবছর পর এদিন একই সঙ্গে দীপা দাশমুন্সি, প্রদীপ ভট্টাচার্য, এএইচ খান চৌধুরী, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, নেপাল মাহাত, শঙ্কর মালাকার, শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখরা হাজির ছিলেন। এমনকি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকেও এই বৈঠকে হাজির থাকতে দেখা যায়। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে বৈঠেকে দেখা গেল না সদস্য প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং সন্তোষ পাঠককে। ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় সভায় যোগ দিতে পারেননি,এমনটাই জানানো হয়েছে দলের তরফ থেকে।

এদিন বৈঠকে নবনিযুক্ত চার প্রদেশ কার্যকারী সভাপতিকে তাঁদের দায়িত্ব আসা জেলার তালিকা ঠিক করে দেওয়া হয়।পরবর্তী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে তাঁরা সংশ্লিষ্ট জেলা পরিদর্শনে যাবেন এমনটাও নির্দেশ রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির তরফ থেকে। জেলার সাংগঠনিক বিষয়ে কার্যকারী সভাপতিরা তাঁদের রিপোর্ট প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে জমা দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ফের পুজোর পরে আরেকটি কমিটি বৈঠক ডাকা হবে পর্যালোচনার জন্য। পুজোর পর ধর্মতলার সমাবেশ করার টার্গেটও নিয়েছেন জেলা সভাপতিরা,বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে এমনটাই জানালেন সোমেন মিত্র।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্বে দলীয় গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যার মধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বটি পেয়েছেন বর্ষীয়াণ নেতা সোমেন মিত্র। অধীর বাবুর যায়গায় এসে তিনি কতোটা নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারবেন তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল অনেকের মনেই। মূলত দলের ভাঙন রোধে ব্যর্থ অধীর বাবু,এছাড়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জট কাটাতেও তিনি নিজের ভূমিকা পালন করতে পারেননি,এই অভিযোগকে সামনে রেখেই অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ছাঁটাই করেছেন জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধী। তাঁর স্থানে এসেছেন প্রবীণ নেতা সোমেন মিত্র। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই নেতা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কু্র্সিতে বসার দিনই দলত্যাগী কর্মীদের কংগ্রেসে ফিরে আসার আবেদন করেছিলেন। সঙ্গে এদিন আবার বিধানসভার বৈঠকে জেলার পুরানো কমিটি ও সভাপতিদের নিজেদের পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে দলীয় ভাঙন রোধে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন। সোমেন বাবুর বক্তব্য,বাংলায় কংগ্রেসের মাটি শক্তি করার নির্দেশ রয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ডারের। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার লক্ষ্যেই অগ্রস্বর হচ্ছেন তিনি। সোমেন বাবু এক এবং অন্যতম লক্ষ্য যে দলীয় সংগঠনকে পোক্ত করা,সেটাই তিনি বুঝিয়ে দিলেন এদিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!