দলনেত্রীর ইচ্ছা আর ‘শেষ কথা’ নয় তৃণমূলে, বিস্ফোরক দাবি সংবাদপত্রের বিশেষ খবর রাজ্য November 27, 2017 মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা আর বোধহয় শেষ কথা নয় শাসকদলে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে কলকাতার এক ওয়েব পোর্টাল। ওই পোর্টালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় প্রায় সিলমোহর পরে গেল সবং উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে। দলের মধ্যে সবংয়ের দীর্ঘদিনের নেতা অমূল্য মাইতিকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে, কিন্তু মানসবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েই এক সাংসদের সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা করতেন আর সেই সাংসদকে ধরেই নিজের স্ত্রীকে স্থানীয় নেতৃত্ত্বের দাবি অগ্রাহ্য করিয়ে টিকিট দেওয়ালেন তিনি। ওই রিপোর্টে আরো দাবি করা হয়েছে সেই সাংসদই এখন দলের মূল চালিকা শক্তি। এমনকি এমনও বলা হয়েছে সেই সাংসদ মূল সংগঠনের কোনও দায়িত্বে না থাকলেও সংগঠনে তাঁর অনুগামী না হলে এখন আর কল্কে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দলের অন্দরেই দাবি। তার উপরে দলনেত্রী নাকি চাননি সবং থেকে মানস-পত্নী টিকিট পান, কিন্তু এক্ষত্রে তা হয় নি, শেষপর্যন্ত সেই সাংসদের ইচ্ছাতেই সিলমোহর পড়েছে। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব দীর্ঘ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে শিলমোহর দিয়েছেন। এমনকি মানসবাবুও বলেছেন, তিনি দলের অনুগত সৈনিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ মতোই তিনি কাজ করবেন। কিন্তু তবুও ওই ওয়েব পোর্টালের দাবি, সেই সাংসদের ইচ্ছেতেই সবং বিধানসভার উপনির্বাচনে উপেক্ষিত হলেন আদি তৃণমূলের নেতারা এবং টিকিট পেলেন তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত মানসবাবুর স্ত্রী। যদিও ওই পোর্টালে এই খবরের সত্যতা বা সূত্র হিসাবে কিছু বলা নেই বা প্রিয়বন্ধু বাংলার পক্ষেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -