এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মা কালীকে অপমান, হাতেনাতে ফল পেলেন মহুয়া! ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু!

মা কালীকে অপমান, হাতেনাতে ফল পেলেন মহুয়া! ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কথায় আছে, ভগবানকে অপমান করার ফল হাতেনাতে পেতে হয়। তবে অনেকে আবার ক্ষমতা পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেন। তারা অনেকেই ভগবানকে এমন সব শব্দে ভূষিত করেন, যেন তারাই শেষ কথা। কিন্তু কটুক্তির ফল কিছুদিনের মধ্যেই পেতে হয়। মহুয়া মৈত্রের ক্ষেত্রেও হয়ত তেমনটাই হলো। একসময় মা কালীকে নিয়ে তিনি অনেক কথা বলেছিলেন। যার ফলে হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। আর এবার সেই মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হতেই তার অতীতের করা মা কালীকে নিয়ে মন্তব্যের কথা তুলে ধরে সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল এই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। আজ এথিক্স কমিটির তদন্তের রিপোর্ট লোকসভায় জমা পড়ে। আর তারপরেই ধ্বনি ভোটে সেই মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। আর এই ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি লেখেন, “ভগবানকে নিয়ে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না। তার ক্রোধ আপনাকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে। জয় মা কালী।” একাংশ বলছেন, একসময় মা কালীকে নিয়ে অনেক অপমানজনক কথা বলেছিলেন এই তৃণমূল সাংসদ। মা কালী নাকি মদ, সিগারেট খান, ইত্যাদি শব্দ শোনা গিয়েছিল তার মুখে। যা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে প্রবল আঘাত দিয়েছিল। তাই মাতৃদেবীকে অপমান করার ফল যে হাতেনাতে পেলেন মহুয়া মৈত্র, তা ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূল এবং মহুয়া মৈত্রকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, ঔদ্ধত্যের পতন অনিবার্য। হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবীকে কেউ যদি দুর্বল ভাবে, তাহলে তারা ভুল করবে। মাতৃশক্তিকে অপমান করার ফল এই জন্মেই পেতে হবে। মহুয়া মৈত্র যে কথা বলেছেন, ঘুরিয়ে তাকে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিলেন মা কালী। তাই ভগবানকে অপমান করা থেকে বিরত থাকুন ক্ষমতাশালীরা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেউ ভাবতেই পারেনি যে, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু অদৃষ্টের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে তিনি নিজেকে বিশাল কিছু ভাবতে শুরু করেছিলেন। মা কালীকে নিয়েও মন্তব্য করতে তার দুবার ভাবনা বোধ জাগেনি। তাই অবশেষে তার সাংসদ পদ চলে গেল। আর এই করুণ পরিণতি যে মা কালীর ক্রোধেরই ফসল। শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!