এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি নাকি ভয় পাচ্ছে! মহুয়াকে নিয়ে খেলো যুক্তি মমতার, ধুয়ে দিচ্ছে পদ্ম শিবির!

বিজেপি নাকি ভয় পাচ্ছে! মহুয়াকে নিয়ে খেলো যুক্তি মমতার, ধুয়ে দিচ্ছে পদ্ম শিবির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-গোটা বিজেপি পরিবার তো অনেক দূরের কথা, বিজেপির একজন নেতার কাছে যে দলের সর্বময় নেত্রী হেরে যান, সেই দল নাকি ভয় পাবে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের এক চুনোপুটি নেত্রীকে! দেখে সত্যিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনলে অনেক সময় অট্টহাসিতে ফেসে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতারা। মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বললেন, তা শুনে অনেকেই বলছেন যে, এটা কি বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে পারেন? তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন যে, মহুয়া মৈত্রকে নাকি ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই তার সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ঠিক কোনো যুক্তি সামনে আনতে পারলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বরঞ্চ ফেলো যুক্তি দিয়েই আসর মাতানোর চেষ্টায় দেখা গেল তাকে।

প্রসঙ্গত, এথিক্স কমিটির তদন্তের রিপোর্ট জমা করার পর আজ ধ্বনী ভোটে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। আর তারপরেই প্রতিহিংসার কথা শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। উত্তরবঙ্গ থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মহুয়া মৈত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি। তার মত মহিলাকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে হারাতে না পেরে বিজেপি এই ধরনের কাজ করেছে।” অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী আবারও ওই একঘেয়ে বক্তব্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, বিজেপি মহুয়াদেবীকে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এতদিন ধরে রাজনীতি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন? তাকে শেষ পর্যন্ত এই কথা কিনা বলতে হলো যে, মহুয়া মৈত্রকে দেখে বিজেপির মত সর্বভারতীয় দল ভয় পাবে! অথচ আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সুপ্রিমো বিজেপির এক নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। তাই সেই হেরে যাওয়া নেত্রীর মুখ থেকে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করে সাংসদ পদ খারিজ হওয়া মহুয়া দেবীকে নিয়ে এত বড় বড় কথা মানায় না বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল দলে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। আর যিনি সর্বেসর্বা বলে পরিচিত, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারতে হয়েছে। আগামী দিনে এই রাজ্য থেকে তৃণমূলের বিদায় অবশ্যম্ভাবী। তাই যার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল, তার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় বড় গলায় কথা বলা উচিত নয়। বরঞ্চ নিজের দলের সাংসদকে শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা অন্তত তৃণমূল নেত্রীর কাছে আশা করা যায় না। তাই বিজেপি বিরোধী কথা বলে বৃথা রাজনীতি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মহুয়া মৈত্রর পক্ষ অবলম্বন করতে গিয়ে নিজের জালে নিজেই ফেঁসে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করা এক ব্যক্তি কখনও বিজেপির প্রতিপক্ষ হতে পারে না। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই বিজেপি মাথা ঘামাচ্ছে না, সেখানে তারা নাকি মহুয়া মৈত্রকে ভয় পাবে! সত্যিই ফেলো যুক্তি দিতে ওস্তাদ পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দেশের আইন ন্যায়ের কথা বলে। বাংলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলেও দেশে তো সেটা রয়েছে। তাই সেই আইনের শাসনের মধ্যে দিয়েই উচিত সাজা পেয়েছেন মহুয়া মৈত্র। বিজেপির এত সময় নেই যে, মহুয়া মৈত্রের মত একজন পাতি সাংসদকে নিয়ে তারা মাথা ঘামাবে! দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!